টিকা পেতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা ‘বাংলাদেশের জন্য নয়'
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে যে চুক্তি আছে সে অনুযায়ীই টিকা পাওয়া যাবে।টিকা উৎপাদন কোম্পানি সিরাম ইনস্টিটিউটকে রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ভারত সরকারের যে আদেশ এসেছে, তাতে বাংলাদেশের টিকা প্রাপ্তিতে কোনো বাধা নেই।
সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির চুক্তি আছে। আমরা সে অনুযায়ী টিকা পাবো। চুক্তি হলে টিকা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সবার সঙ্গে কথা হয়েছে, তারা বলেছেন- আপনারা চুক্তি অনুযায়ী টিকা পাবেন।
তিনি বলেন, টিকা পাওয়ার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে যে পদক্ষেপ আছে তা হয়ে গেছে। অনুমোদনও হয়ে গেছে। সব চুক্তি হয়ে গেছে। চুক্তি অনুযায়ী অর্ধেক টাকা পাঠাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কথা হয়েছে। তারা আশ্বস্ত করেছে। তারা বলেছে, আশাহত হবেন না। আমরা আশাবাদী।
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট সে দেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের টিকা তৈরি করছে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ ডিসেম্বর করোনাভাইরাসের টিকা কেনার জন্য সরকার সেরাম ইনস্টিটিউট ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের সঙ্গে চুক্তি করে। ওই চুক্তি অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে শুরু করে পরবর্তী ছয় মাসে ৫০ লাখ করে মোট ৩ কোটি টিকা পাওয়ার কথা বাংলাদেশের।
তবে সোমবারই খবর রটিয়ে পড়ে ভারতের যে প্রতিষ্ঠান থেকে এই টিকা কেনা হচ্ছে, তারা বলেছে, আগামী দুই মাস তারা আগে স্থানীয় চাহিদা মেটাবে। এরপরই আগ্রহী দেশগুলোয় টিকা রপ্তানি করা হবে। এ নিয়েই বাংলাদেশের টিকা পাওয়া নিয়ে শঙ্কার কথা শোনা যায়।
এদিকে ভারতীয় দূত জানিয়েছেন, ভারতের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছে, সেটি জিটুজি (গভর্নমেন্ট টু গভর্নমেন্ট)। বাণিজ্যিকভাবে যাদের সঙ্গে সিরামের চুক্তি হয়েছে তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ হয়েছে। দুই দেশের সরকারের মধ্যে চুক্তি এর আওতার বাইরে।
