দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ২২৫ প্রকল্পের উদ্বোধন রোববার
আগামীকাল রোববার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ২২৫ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ তথ্য জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।
শনিবার (২২ মে) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, ‘আমরা এখন ত্রাণ ব্যবস্থাপনার চেয়ে দুর্যোগ হ্রাসকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। এরই ধারাবাহিকতায় দুর্যোগ হ্রাসে নানা কাজ করছে সরকার। আগামীকাল ২২৫টি প্রকল্পের উদ্বোধন করা হবে। সকাল ১০টায় এসব প্রকল্প উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ১১০টি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র, ৩০টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রের উদ্বোধন করবেন। এ ছাড়াও তিনি ৩০টি জেলা ত্রাণ ও গুদাম কাম দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তথ্য কেন্দ্র ও ৫টি মুজিব কিল্লার উদ্বোধন এবং ৫০টি মুজিব কিল্লার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা হতে মানুষের জানমাল রক্ষার্থে মাটির কিল্লা নির্মাণ করা হয় যা সর্ব সাধারণের কাছে মুজিব কিল্লা নামে পরিচিত। তাই আধুনিক রূপে উপকূলীয় ও বন্যা উপদূত ১৪৮টি উপজেলায় ৫৫০টি মুজিব কিল্লা নির্মাণ ও সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে। দুর্যোগ সহনীয় টেকসই নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় পরিকল্পিতভাবে কাঠামোগত ও অকাঠামোগত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।’
প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, উপকূলীয় এলাকায় বয়স্ক, গর্ভবতী, শিশু ও প্রতিবন্ধীবান্ধব ৩২০টি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। এতে প্রায় ২ লাখ ৫৬ হাজার বিপদাপন্ন মানুষ এবং প্রায় ৪ হাজার গবাদিপশুর আশ্রয় গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের পূর্বাভাস ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে মানুষ তাদের পরিবার ও গবাদি পশুসহ এ সকল আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় আশ্রয় নিতে পারবেন।
তিনি বলেন, ‘নদী ভাঙন কবলিত এলাকায় দরিদ্র জনগোষ্ঠির জন্য দ্বিতল বিশিষ্ট ২৩০টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। এতে প্রায় ১২ হাজার মানুষ এবং ১৩ হাজার গবাদিপশুর আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ২০১৮-২০১৯ মেয়াদে ৪২৩টি আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুর্যোগে তাৎক্ষণিক সাড়াদানের অংশ হিসেবে ত্রাণ সামগ্রী, প্রাথমিক জরুরি খাদ্যমজুদ নিশ্চিতকরণের জন্য সারা দেশে ৬৬টি জেলা ত্রাণ গুদাম কাম দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তথ্যকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়। এ ছাড়াও ভূমিকম্পসহ অন্যান্য দুর্যোগে দ্রুত উদ্ধার ও অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ফায়ার সার্ভিস এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও যানবাহন প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- অ্যাকোয়াটিক সি সার্চবোট, মেরিন রেস্কিউ বোট ও মেগাফোন সাইরেন। এ কার্যক্রম সহজ করার জন্য আরও অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি সংগ্রহের কাজ চলমান রয়েছে ।