ঘূর্ণিঝড় 'ইয়াস', বাংলাদেশে ব্যাপক আঘাতের আশংকা নেই


প্রকৌশল প্রতিবেদক :
ঘূর্ণিঝড় 'ইয়াস', বাংলাদেশে ব্যাপক আঘাতের আশংকা নেই
  • Font increase
  • Font Decrease

পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং এর আশপাশের এলাকায় সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’-এ পরিণত হয়েছে। এসময় সাগর উত্তাল থাকলেও আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন, ‘ইয়াস’ বাংলাদেশের উপকূলে ব্যাপকভাবে আঘাত করার আশংকা কম। তবে খুলনা, বরিশাল অঞ্চলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হবার কথা জানা গেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে। 

সোমবার আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে পাঠানো বিশেষ সতর্ক বার্তায় বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ৬২ কিলোমিটার। যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়া আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের কাছের সাগর উত্তাল রয়েছে। বাংলাদেশে আগামীকাল মধ্যরাত থেকে এই ঝড়ের প্রভাব পড়া শুরু করতে পারে। দেশের চার সমুদ্র বন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত নামিয়ে ২ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

সতর্ক বার্তায় আরও বলা হয়, গভীর নিম্নচাপটি অবস্থান করছে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৭০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ৬২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, মোংলা বন্দর থেকে ৬৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা বন্দর থেকে ৬০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে। এ জন্য চট্টগ্রাম, পায়রা, কক্সবাজার ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত নামিয়ে ২ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান করতে বলা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন প্রকৌশলনিউজকে বলেছেন, দূরত্বটা আগের মতই আছে, খুব একটা মুভমেন্ট হয় নাই। এই ঘূর্ণিঝরটি বাংলাদেশের উপকূলে ব্যাপক ভাবে আঘাত করার আশংকা কম। তবে হালকা বৃষ্টিসহ ঘন্টায় ৬০-৭০ কিলোমিটার বেগে বাতাস হতে পারে। আগামীকাল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা উপকূলে পৌঁছাবে। মূল আঘাতটা করবে ওখানেই।

প্রকৌশলনিউজ/এমএসআই