জেরুজালেম পরিস্থিতি: জাতিসংঘ ও ওআইসির পদক্ষেপ চায় ঢাকা
ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে জেরুজালেমকে যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয়ার পর পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে বাংলাদেশ। দেশ-বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশি কূটনীতিক ও কর্মকর্তারা এ নিয়ে সতর্ক পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলাকে সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে তুলনা করে কঠোর ভাষায় নিন্দা জানিয়ে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে লেখা চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনের ভ্রাতৃপ্রতীম জনগণের পাশে থাকার পুনরুল্লেখ করেন।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে যৌথ আলোচনায় স্থায়ী সমাধানে জরুরি ও নিষ্পত্তিমূলক সিদ্ধান্ত গ্রহণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক স্বাধীন কমিশন গঠনের আহ্বান জানিয়ে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের ভিত্তিতে অবিলম্বে স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা হওয়া উচিত।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জেষ্ঠ্য কর্মকর্তারা বলছেন, জেরুজালেম নগরীর ওপর ইসরাইলের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থনে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া হয়েছিলো গোটা দুনিয়ায়। পূর্ব-পশ্চিম ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের এমন অবস্থানের প্রকাশ্য সমালোচনা করছে। বর্তমান উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাইডেন প্রশাসন কি পদক্ষেপ নেয় বাংলাদেশ সেটাই এখন দেখার বিষয়।
ঢাকায় ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমারা সবসময় মানবতার কথা বললেও তারা ইসরায়েলি হামলার কোনো নিন্দা করে না। বরং অস্ত্র দিয়ে আরও সাহায্য করেছে। গত তিন দশকে শান্তি আলোচনার প্রক্রিয়া ফিলিস্তিনিদের কিছুই দেয়নি। বারবার ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলিদের নৃশংসতার রুপ বেরিয়ে এসেছে।
প্রকৌশলনিউজ/এসএআই