‘মুজিব চিরন্তন’ অনুষ্ঠানমালার সাফল্যে প্রধানমন্ত্রীসহ সবার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে দশ দিনব্যাপী ‘মুজিব চিরন্তন’ অনুষ্ঠানমালা সাফল্যজনকভাবে সম্পন্ন হওয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এবং এ আয়োজনের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি।
রোববার বিকালে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত কমিটির ১০ম সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ ধন্যবাদ প্রস্তাব গৃহীত হয়। কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম।
সভার শুরুতে সম্প্রতি প্রয়াত কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটির সদস্য ও বাংলা একাডেমির সভাপতি বিশিষ্ট ফোকলোরবিদ শামসুজ্জামান খান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য, চলচ্চিত্র শিল্পী ও সাবেক সংসদ সদস্য সারাহ বেগম কবরী, জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য ও বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী এবং ইতোপূর্বে জাতীয় কমিটি এবং জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির যে সকল সদস্য প্রয়াত হয়েছেন তাঁদের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব গৃহীত হয় এবং তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কমিটির পক্ষ হতে অনুষ্ঠানমালার সাফল্যের জন্য মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এবং বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানার সার্বিক দিকনির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে ‘মুজিব চিরন্তন’ অনুষ্ঠানমালা আন্তর্জাতিক মাত্রায় উন্নীত ও জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। তিনি ‘মুজিব চিরন্তন’ অনুষ্ঠানমালা বাস্তবায়নের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর, সংস্থা, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও বিশিষ্ট ব্যক্তিগণকে জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সভায় অনুষ্ঠানমালা আয়োজনের ব্যয় বিবরণী উপস্থাপনসহ ব্যয় নির্বাহের বিষয় পর্যালোচনা করা হয়। দেশের ইতিহাসে অভূতপূর্ব, সফল ও আন্তর্জাাতিক মাত্রায় উন্নীত এই আয়োজন সম্পন্ন করা এবং স্বচ্ছ্বতার সাথে ব্যয় নির্বাহের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে সভায় সর্বসম্মতিক্রমে উপস্থাপিত ব্যয় বিবরণীর অনুমোদন দেয়া হয়।
এছাড়া জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম সম্প্রতি বাংলা একাডেমির সভাপতি পদে নিযুক্ত হওয়ায় তাঁকে অভিনন্দন জানানো হয়।
কমিটির প্রধান সমন্বয়ক জানান, আগামী ৭ই জুন ঐতিহাসিক ৬-দফা দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির উদ্যোগে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। অনুষ্ঠানটি সকল টেলিভিশন চ্যানেল, অনলাইন ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করা হবে। এছাড়া উক্ত দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির পক্ষ হতে ই-পোস্টার প্রকাশ করা হবে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, এমপি, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, এমপি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ. কে. আব্দুল মোমেন. এমপি, সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, এমপি, পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, এমপি, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো: জাহিদ আহসান রাসেল, এমপি, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, এমপি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন, এমপি, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম, এমপি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, এমপি, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, এমপি, গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, এমপি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, এমপি, সংসদ সদস্য আরমা দত্ত, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সদস্য সচিব শেখ হাফিজুর রহমান, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, এসজিপি, পিএসসি, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, গৃহায়ন ও গণপুর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ শহীদ উল্লা খন্দকার, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নুরুল ইসলাম, গণপূর্ত বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শেখ রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক সোহরাব হোসেন, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, নাট্যজন সৈয়দ হাসান ইমাম, লে. কর্নেল কাজী সাজ্জাদ আলী জহির, বীর প্রতীক, বাংলাদেশ পুলিশের এ আই জি (অপারেশন্স) মোহাম্মদ আইয়ুব, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, এফবিসিসিআই এর সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, এ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স (এ্যাটকো) এর সিনিয়র সহ-সভাপতি মোজাম্মেল হক বাবু, কবি মুহম্মদ নুরুল হুদা, নাট্য ব্যক্তিত্ব আতাউর রহমান, সাংবাদিক সৈয়দ বদরুল আহসান, সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, সাংবাদিক সুভাষ সিংহ রায়, কথা সাহিত্যিক আনিসুল হক, কবি তারিক সুজাত এবং জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির কার্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস