বিমসটেক নেতাদের করোনা মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ থাকার বার্তা 


প্রকৌশল নিউজ:
বিমসটেক নেতাদের করোনা মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ থাকার বার্তা 
  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনাভাইরাস মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকতে বার্তা দিয়েছে বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলে বহুমাত্রিক প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোট-বিমসটেক এর সদস্য দেশগুলোকে।

বার্তায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ জোটের সাত সদস্য দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা মহামারির দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা, আঞ্চলিক উদার বাণিজ্যসহ নানা ইস্যুতে যৌথভাবে কাজ করার ওপর জোর দিয়েছেন।

বিমসটেক এর ২৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ বার্তা দেন তারা। ১৯৯৭ সালের ৬ জুন যাত্রা শুরু করে বিমসটেক। জোটের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় অবস্থিত।

শুরুতে বিমসটেকের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়- বাণিজ্য, প্রযুক্তি, জ্বালানি, পরিবহন, পর্যটন ও মৎস্য খাত উন্নয়নের। পরে ২০০৮ সালে কৃষি, জনস্বাস্থ্য, দারিদ্র্য নির্মূল, সন্ত্রাস নির্মূল, পরিবেশ, সংস্কৃতি, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ঠেকানোসহ নানা খাত যোগ হয়।

বিমসটেকের সদস্য রাষ্ট্রের সরকার ও জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্কের ভিত্তিতে সমন্বিত অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের স্বপ্ন দেখেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সে স্বপ্ন পূরণে আওয়ামী লীগ সরকারের মেয়াদে ১৯৯৭ সালে বিমসটেক ফোরামে যোগ দেয় বাংলাদেশ। তখন থেকেই বাংলাদেশ সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকারে পরিণত হয়েছে পররাষ্ট্রনীতি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘চলতি বছর জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলে জীবনমান উন্নয়নে আরও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়েছি আমরা।’

বিমসটেকের সমন্বিত লক্ষ্য অর্জনে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার সময় এসেছে বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। আসন্ন পঞ্চম বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে জোটকে আরও শক্তিশালী করে তোলার ঘোষণাও দেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘বিমসটেকের কার্যপ্রক্রিয়ায় গতি আনতে প্রতিষ্ঠাতা সদস্য দেশ হিসেবে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে বাংলাদেশ। আমি আশা করছি বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, কানেকটিভিটি, কৃষি, জ্বালানি, জনস্বাস্থ্য ও প্রযুক্তিসহ সব খাতে বিমসটেকের অধীনে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ আরও জোরদার হবে।’

করোনাভাইরাস মহামারি পরবর্তী সময়ে বহুমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ হতে সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘সংকটজনক এ সময়ে খাদ্য নিরাপত্তা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও দারিদ্র্য নির্মূলে বিমসটেকের এই মঞ্চকে ব্যবহার করতে পারি আমরা।’

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এ অঞ্চলের মানুষের সাধারণ স্বার্থ উদ্ধারে সম্ভাবনাময় এ জোট সদস্য রাষ্ট্রগুলোর কল্যাণে কাজ করছে। পরিবহন সংযোগবিষয়ক বিমসটেকের মহাপরিকল্পনা ও বিমসটেক চার্টার চূড়ান্ত হয়েছে। এ অঞ্চলের সম্ভাবনাময় তরুণ উদ্যোক্তাদের সঙ্গে আলাপের সৌভাগ্যও হয়েছে আমার।’

করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলা ইস্যুতে মোদি বলেন, মহামারি নিয়ন্ত্রণে এবং এর ভবিষ্যৎ প্রভাব ঠেকাতে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে হবে আমাদের।’

এছাড়াও আরও বার্তা দিয়েছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ড. লোটে শেরিং, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে ও থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেনারেল (অব.) প্রায়ুত চান-ওচা।

বিমসটেকের মহাপরিচালক তেনজিন লেকফেল জোটের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য অর্জনে সদস্য দেশগুলোকে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।