আগামীকাল থেকে শপিংমল-মার্কেট বন্ধ


প্রকৌশল নিউজ ডেস্ক :
আগামীকাল থেকে শপিংমল-মার্কেট বন্ধ
  • Font increase
  • Font Decrease

করোনা ভাইরাসের কারণে আগামীকাল সোমবার (২৮ জুন) থেকে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকাল পর্যন্ত তিন দিনের সীমিত লকডাউন (বিধিনিষেধ) দিয়েছে সরকার। এই সময়ে শপিংমল-মার্কেট-পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ থাকবে।

রোববার (২৭ জুন) এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এ সময় পণ্যবাহী যান ও রিকশা ছাড়া গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে সরকারি-বেসরকারি অফিস। বন্ধ ধাকবে শপিংমল, মার্কেট, বিনোদন কেন্দ্র। হোটেল-রেস্তোরাঁ খোলা থাকলেও বসে খাওয়া যাবে না।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনাভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯) সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আগের সব বিধিনিষেধ ও কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় নতুন পাঁচটি শর্ত সংযুক্ত করে ২৮ জুন সকাল ৬টা থেকে ১ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ আরোপ করা হলো

১. সারাদেশে পণ্যবাহী যানবাহন ও রিকশা ছাড়া সব গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়মিত টহলের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

২. সব শপিংমল, মার্কেট, পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে।

৩. খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁ সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খাবার বিক্রয় (শুধু অনলাইন/টেকওয়ে) করতে পারবে।

৪. সরকারি-বেসরকারি অফিস/প্রতিষ্ঠানগুলো শুধু প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নিজ নিজ অফিসের ব্যবস্থাপনায় তাদের আনা-নেয়া করতে হবে।

৫. জনসাধারণকে মাস্ক পরার জন্য আরও প্রচার প্রচারণা চালাতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

দেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও সংক্রমণ হার উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে গেছে। এই প্রেক্ষাপটে গত বৃহস্পতিবার সারাদেশে ১৪ দিনের পূর্ণ শাটডাউন দেয়ার সুপারিশ করে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। এর পরিপ্রেক্ষিতে সারাদেশে নতুন করে বিধিনিষেধ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। যদিও এর আগে থেকে বিধিনিষেধ জারি ছিল, যেটির মেয়াদ রয়েছে আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত।

এর মধ্যে অবনতিশীল করোনা পরিস্থিতিতে সীমান্তের জেলাগুলোতে লকডাউন দেয়া হচ্ছিল। সর্বশেষ গত ২২ জুন থেকে ঢাকার আশপাশের মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, রাজবাড়ী, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জ-এই সাত জেলায় কঠোর লকডাউন (বিধিনিষেধ) দেয়া হয়। বন্ধ করে দেয়া হয় ঢাকার সঙ্গে বাস, লঞ্চ ও রেল যোগাযোগ।