সাতক্ষীরায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৭ টি ঘর নতুন করে নির্মাণ
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৭টি ঘর ঝুঁকির কারণে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার লাঙ্গলঝাড়া ইউনিয়নের তৈলকুপি গ্রামে সপ্তাহখানেক আগে এই ঘর সরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়।
সাতক্ষীরা কলারোয়ার লাঙ্গলঝাড়ার ইউপি চেয়ারম্যান মো: নূরুল ইসলাম বলেন, তৈলকুপি গ্রামের খাস জমিতে দুই সারিতে মোট ১৩টি ঘর নির্মাণ করা হয়। এক পাশে ৭টি, অপর পাশে ৬টি। কিন্তু পাশে পুকুর থেকে বালি তোলার কারণে ৭টি ঘর ঝুঁকিপূর্ণ হয়। তাই ঘরগুলো ভেঙ্গে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
সাতক্ষীরা কলারোয়া উপজেলার লাঙলঝাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য শরিফুল ইসলাম বলেন, ঘরগুলো সরিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত জানালা-দরজাগুলো অন্য একটি ঘরের মধ্যে রাখা হয়েছে।
ইউএনওকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, এসব ঘরে লোকজন তুলে দিলে প্রাণহানির আশঙ্খা থাকতো। তাই ঘরগুলো সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে গৃহহীন মানুষদের জন্য এসব ঘর তৈরি করা হয়। এর প্রতিটির প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। হতদরিদ্র ও অসহায়দের জন্য এসব বানানো হলেও তাদের বুঝিয়ে দেওয়ার আগেই ঘরগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
কলারোয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু জানান, তৈলকুপি গ্রামে ঘর নির্মাণ করা হয় পুকুরের পাড়ে। দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে সদ্য বদলিকৃত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমি জেরিন কান্তা ঘরগুলো নির্মাণ করেন। অল্প দিনের মধ্যেই ঘরগুলো ধসে পড়ার আশঙ্খা দেখা দেয়। পুকুর ভরাটের জন্য আরও ৬ লাখ টাকা খরচ করেন উপজেলা অফিস থেকে। কিন্তু তাতেও কোন লাভ হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুবায়ের হোসেন চৌধুরীর ভাষ্য মতে, ঘরগুলো তার পূর্বের নির্বাহী কর্মকর্তা নির্মাণ করেছেন। তাই, দুর্নীতি ঢাকতে নয়, ঘরগুলো ঝুকিপূর্ণ স্থানে নির্মাণের কারণে সরানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ঘরগুলো পুকুরের পাড়ে নির্মাণ করা হয়েছিলো। পরবর্তীতে পুকুরে প্যালাসাইডিং দিয়ে ঘরগুলো বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়েছিলো। কিন্তু তাতেও তেমন কোন ফল না পেয়ে পরিষদের সকলের সাথে আলোচনা করে ঘরগুলো ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। পরবর্তীতে সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নে একটি জায়গা পাওয়ায় ঘরগুলো ভেঙে সেখানে নির্মাণের জন্য নেওয়া হয়।
অর্থ অপচয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদেরকে বলেন, বসবাসকারীদের জীবনের ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে ঘরগুলো সরানো হয়েছে। এখানে টাকার চেয়ে জীবনের কথা বেশি বিবেচনা করা হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।