করোনা থেকে বিশ্বকে পরিত্রাণ পেতে একযোগে কাজ করতে হবে 


প্রকৌশল নিউজ ডেস্ক :
করোনা থেকে বিশ্বকে পরিত্রাণ পেতে একযোগে কাজ করতে হবে 
  • Font increase
  • Font Decrease

করোনাভাইরাসের মহামারীর কারণে পুরো বিশ্বকে পরিত্রাণ পেতে একযোগে প্রচেষ্টার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।শুক্রবার তাসখন্দে এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্ট শাভকাত মিরজিইয়োইয়েভের উদ্যোগে আয়োজিত ওই সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন। ১৫ ও ১৬ জুলাই দুই দিনের এই সম্মেলন। তাসখন্দের সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, পাকিস্তান ও ইইউসহ বিশ্বের অন্তত ৪০টি দেশ ও জোটের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা। ২৫০ প্রতিনিধি এতে অংশ নিচ্ছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানোর জন্য উজবেক রাষ্ট্রপতির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, মহামারীর মত চ্যালেঞ্জিং সময়কালে আঞ্চলিক সহযোগিতা সম্প্রসারণের জন্য যথাযথ সময়ে ও সম্মেলনটি আয়োজন করা হয়েছে। 

ড. মোমেন উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ তার প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে যোগাযোগ বাড়ানোর এবং ভারত ভুটানের সাথে সংযোগ স্থাপনের উদ্যোগে বে-বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন (বিমসটেক) ​​নামক সংস্থার মাধ্যমে একটি অগ্রণী ভূমিকা পালন করার চেষ্টা করেছে।

শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, নেপাল, এবং মিয়ানমারসহ আসিয়ান এবং বিমসটেকের মাধ্যমে  বাংলাদেশও প্রতিবেশীর সাথে রাস্তা, রেল ও সমুদ্রপথের মাধ্যমে বিভিন্ন সংযোগ প্রকল্পে নিজেকে যুক্ত করার চেষ্টা করছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও একটি উদাহরণ দেখিয়ে বলেন, বাংলাদেশ, ভুটান, নেপাল এবং ভারত (বিবিআইএন) এই দেশগুলোর মধ্যে যাত্রী, কর্মী এবং যানবাহনের কার্গো ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য ২০১৫ সালে একটি মোটর যানবাহন চুক্তি (এমভিএ) স্বাক্ষর করেছে।

তিনি মধ্য ও দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের দীর্ঘকালীন সাধারণ সাংস্কৃতিক ও নাগরিক বন্ধনকে উল্লেখ করেন যা শিক্ষা, পর্যটন এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়য়ের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে জনগণের সম্পর্কের ভিত্তি হিসাবে কাজ করে এবং সড়ক ও আকাশ উভয় মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।