২৮ ডিসেম্বরের পর অ্যাপের মাধ্যমে বুস্টার ডোজের নিবন্ধন
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, মহামারী করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রমের পাশাপাশি শুরু হয়েছে বুস্টার ডোজ প্রয়োগ। করোনা টিকার বুস্টার ডোজ নেওয়ার জন্য সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। যা শুরু হবে ২৮ ডিসেম্বরের পর থেকে। প্রথম দিনে ছয় জন মন্ত্রী সহ ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ নিয়েছে ৬০ জন।
রোববার (১৯ ডিসেম্বর) মহাখালীর বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএসএ) অডিটরিয়াম হলে ‘বুস্টার ডোজ কার্যক্রম উদ্বোধন করে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বুস্টার ডোজ ওমিক্রন মোকাবিলায় সহায়তা করবে। ‘এখন বিশ্বব্যাপী ওমিক্রনের আতঙ্ক কাজ করছে, বুস্টার ডোজে ওমিক্রন অনেকটাই প্রতিরোধ হয় বলে জানা গেছে। যেহেতু সরকারের হাতে পর্যাপ্ত ভ্যাক্সিন মজুদ আছে, সেকারণে আমরা এখন থেকেই বুস্টার ডোজ দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
জাহিদ মালেক বলেন, দেশে আজ থেকে বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হলো। ষাটোর্ধ্বদের বুস্টার ডোজ দিতে যা যা প্রস্তুতি দরকার, আমরা নিচ্ছি। তবে আমাদের প্রস্তুতি এখনও পুরোপুরি শেষ হয়নি। সুষ্ঠুভাবে এ কার্যক্রম চালাতে আমরা সুরক্ষা অ্যাপ আপডেট করছি। আইসিটি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা আরেকটু সময় নেবে, আগামী ২৮ ডিসেম্বরের আগে তারা অ্যাপটা আপডেট করতে পারবে না। তাই অ্যাপের মাধ্যমে বুস্টার ডোজের রেজিস্ট্রেশন (নিবন্ধন) এখনই করতে পারছি না।
তিনি বলেন, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রথমে সম্মুখসারির ব্যক্তি হিসেবে চিকিৎসক, নার্স, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, গণমাধ্যমকর্মী এবং বয়স্কদের বুস্টার ডোজের আওতায় আনা হবে। বুস্টারের এই ডোজ গ্রহণকারীদের ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে। আগে যেকোনো ডোজ নেওয়া ব্যক্তিরাই বুস্টার ডোজ হিসেবে ফাইজার টিকা নিতে পারবেন।
প্রথমে বুস্টার ডোজ গ্রহণ করেন প্রথম করোনার টিকা গ্রহণকারী সেবিকা রুনু ভেরোনিকা কস্তা। এরপর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বুস্টার ডোজ গ্রহণ করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যারা এরই মধ্যে করোনার দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছেন এবং ভ্যাকসিন নেওয়ার পর ৯ মাস সময় পেরিয়ে গেছে, তাদেরেই বুস্টার ডোজের আওতায় আনা হবে। পর্যায়ক্রমে সারাদেশেই এ কর্মসূচি চালু হবে।