চার লাখের বেশি নারী ভিজিডি উপকারভোগী পুষ্টি চাল পাচ্ছে : ইন্দিরা


প্রকৌশল প্রতিবেদক :
চার লাখের বেশি নারী ভিজিডি উপকারভোগী পুষ্টি চাল পাচ্ছে : ইন্দিরা
  • Font increase
  • Font Decrease

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দেশের ১৮৯ টি উপজেলায় চার লাখ একত্রিশ হাজার নারী ভালনারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট (ভিজিডি) উপকারভোগীর মাঝে পুষ্টি চাল বিতরণ করছে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়। পর্যায়ক্রমে সকল নারী (দশ লাখ চল্লিশ হাজার) ভিজিডি উপকারভোগীদের পুষ্টি চাল প্রদান করা হবে। পরিবার প্রতি পাচজন করে মোট পঁচিশ লাখ মানুষ পুষ্টি চালের সুবিধায় এসেছে। প্রতিটি পরিবার মাসে ৩০.৩০ কেজি পুষ্টি চাল পাচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী  ইন্দিরা বলেন, সাধারণ চালের  সাথে ভিটামিন-এ, বি১, বি১২, বি৯, আয়রন ও জিঙ্ক উপাদান সমৃদ্ধ করে দানাদার চাল বা কার্নেল উৎপাদন করা হয়। পরে সাধারণ চালের সাথে ১০০:১ অনুপাতে ১০০ কেজি সাধারণ চালে সাথে ১ কেজি  কার্নেল মিশিয়ে পু ষ্টিসমৃদ্ধ চাল প্রস্তুত করা হয়। সাধারণ চালের তুলনায় পুষ্টি চালে বেশি মাত্রায় থায়ামিন, নিয়াসিন, জিঙ্ক, আয়রন, ফাইবার ও প্রোটিন  থাকায় মানুষ ডায়াবেটিস,  ক্যান্সার,  কিডনি ও দীর্ঘমেয়াদী জঠিল রোগ মুক্তি পেতে পারে। 

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা আজ বুধবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়  এবং  বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির যৌথ আয়োজনে দুদিনব্যাপী  পুষ্টি চাল বিতরণ বিষয়ে বার্ষিক পর্যালোচনা ও পরিকল্পনা কর্মশালায় প্রথম দিনের সমাপনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। 

তিনি বলেন,  মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং খাদ্য মন্ত্রণালয় যৌথভাবে পুষ্টি চালের মান নিয়ন্ত্রণ ও বিতরণে কাজ করছে। পুষ্টি চালের চাহিদা মেটানোর জন্য সাতটি কার্নেল কারখানা ও ১১০ টি মিক্সিং মিল স্থাপন করা হয়েছে। 

প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা এসময় পুষ্টি চাল বিতরণ ও পুষ্টি সমৃদ্ধ করতে টেকনিক্যাল সহযোগিতা করার জন্য বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি এবং নিউট্রেশন ইন্টারন্যাশনালকে ধন্যবাদ জানান।

মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রাম চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খাজা আব্দুল হান্নান ও ডাব্লিউএফপি কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ আলফা বাহ।

ডাব্লিউএফপি এর কান্ট্রিরিপ্রেজেনটেটিভ আলফা বাহ বলেন, বাংলাদেশের স্থানীয় পর্যায়ে পুষ্টি চাল উৎপাদন পূর্ণসক্ষমতা রয়েছে। ডাব্লিউ এফপি এ বিষয়ে ভবিষ্যতে সব ধরনের টেকনিক্যাল সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।

কর্মশালায় আরো উপস্থিত ছিলেন ডাব্লিউএফপির সিনিয়র অ্যাডভাইজর আতাউর রহমান ও নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনালের খায়রুল আলমসহ মন্ত্রণালয়, দপ্তরসংস্থা এবং বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ।