গ্যাসের দাম বাড়ানোর সুপারিশ


নিজস্ব প্রতিবেদক :
গ্যাসের দাম বাড়ানোর সুপারিশ
  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গঠিত কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি প্রতি ঘনমিটার প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম ৩ টাকা ১১ পয়সা বাড়ানোর সুপারিশ করেছে।

সোমবার (২১ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর বিয়াম অডিটরিয়ামে গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলোর দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে গণশুনানিতে এ সুপারিশ করা হয়।

গণশুনানিতে বিইআরসির চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল, সদস্য মকবুল ই ইলাহী চৌধুরী, বজলুর রহমান, মোহাম্মদ আবু ফারুকসহ পেট্রোবাংলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।

কারিগরি কমিটির প্রধান দিদারুল আলম বলেন, আমরা ২০২১-২২ অর্থবছরের গ্যাস আমদানির রিয়েল ডাটা যাচাই করেছি। সে হিসেবেই এই দামের সুপারিশ করেছি।

বর্তমানে প্রতি ঘনমিটার গ্যাস বিক্রি হচ্ছে ৯ টাকা ৩৬ পয়সায়। সেই দাম প্রতি ঘনমিটারে ৩ টাকা ১১ পয়সা বাড়ানোর সুপারিশ করেছে কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি।

এর আগে পেট্রোবাংলা বিইআরসির কাছে মিশ্রিত গ্যাসের পাইকারি ব্যয় (২০২২ সালে প্রতি ঘনমিটার) ১৫ দশমিক ৩০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ দশমিক ৩৫ টাকা করার প্রস্তাব দেয়।

তবে মূল্যায়ন কমিটি যাচাই-বাছাই করে দেখেছে এই ব্যয় বেড়ে দাঁড়াতে পারে ১২ দশমিক ৪৭ টাকা। একই সঙ্গে কমিটি মূল্যায়ন রিপোর্টে পেট্রোবাংলাকে অনুদান দেওয়ারও সুপারিশ করেছে।

এর আগে সবশেষ গ্যাসের দাম বৃদ্ধির আদেশে (২০১৯ সালে) পাইকারি দর প্রতি ঘনমিটার ১২ দশমিক ৬০ টাকা করা হয়। এর মধ্যে ইউনিট প্রতি ভর্তুকি দিয়ে ৯ দশমিক ৩৭ টাকায় বিক্রির নির্দেশ দেয় বিইআরসি।

চলতি বছরে সরবরাহ ব্যয় ১৫ দশমিক ৩০ টাকা বেড়ে দাঁড়াবে বলে জানিয়েছে পেট্রোবাংলা। এ জন্য পেট্রোবাংলা ভোক্তা পর্যায়ে ২০ দশমিক ৩৫ টাকা করার দাবি জানায়।

কারিগরি কমিটি তাদের রিপোর্টে দেখিয়েছেন স্পট মার্কেট থেকে দৈনিক ৯৯ দশমিক ৪৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস আমদানি করা হচ্ছে। যা মোট গ্যাসের মধ্যে প্রায় ৩ শতাংশ। বিদায়ী অর্থবছরে গ্যাসের মিশ্রিত ব্যয় ২ দশমিক ৪০ টাকা কমে ১০ দশমিক ১২ টাকায় নেমে এসেছে।

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান মো. আব্দুল জলিল বলেন, বিতরণ কোম্পানিগুলো শিল্প কারখানায় ১১৭ ভাগ এবং বাসাবাড়িতে ১১৬ ভাগ গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করছে। তবে কমিশন চুলচেরা বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেবে। এবার মূল্য নির্ধারণে অবিবেচক হবে না। গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলো তাদের প্রস্তাবনা উত্থাপন করবে, আমরা শুনব। আমাদের বিচারক টিম থাকবে। চুলচেরা বিশ্লেষণের পরই আমরা সিদ্ধান্ত নেব। আমরা অমানবিক হব না।

তিনি আরও বলেন, কোম্পানিগুলোর রিপোর্টে সামাজিক কি প্রভাব পড়বে সেভাবে উঠে আসেনি। সামাজিক প্রভাব মূল্যায়ন করলে সিদ্ধান্ত নিতে সহজ হয়। কারিগরি কমিটিও সেভাবে তুলে আনেনি। বিশ্ব পরিস্থিতির কারণে ফুড, ফুয়েল এবং সারের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। আমরা বন্ধুর পথ অতিক্রম করছি। কোম্পানিগুলো দাম বৃদ্ধির আবেদন করায় আইনি বাধ্যবাধকতার কারণে গণশুনানি নেওয়া হচ্ছে। তথ্য প্রমাণ ও যুক্তির মাধ্যমে চূড়ান্ত করা হবে। কোন অবস্থাতেই অন্যায্য কিছু করা হবে না।