আনন্দবাজার পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রতিবাদ


সূত্রঃ বাসস
আনন্দবাজার পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রতিবাদ
  • Font increase
  • Font Decrease

গতকাল ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে ‘উর্দিতে বাঙালি গণহত্যার রক্তের ছিটে! ৫৩ বছর পর বাংলাদেশে ফিরছে সেই পরাজিত পাক ফৌজ’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর এবং ভিত্তিহীন তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।

আজ শনিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে বাংলদেশের মিডিয়ায় পাঠানো এক প্রতিবাদলিপিতে এ সংবাদ জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পেশাদারিত্ব, নিরপেক্ষতা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার নীতিতে অটল। নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিভিন্ন দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখে এবং পারস্পরিক বোঝাপড়া ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ছাত্র বিনিময় ও প্রশিক্ষণসহ বিবিধ সহযোগিতামূলক কর্মসূচি পরিচালনা করে।

উল্লেখ্য যে, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কোনো প্রশিক্ষক দল বা প্রতিনিধি দলের বাংলাদেশের কোনো সেনানিবাসে প্রশিক্ষণের জন্য আসার কোনো পরিকল্পনা নেই। এই দাবি ভিত্তিহীন এবং বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

এছাড়াও, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তার চাহিদার ভিত্তিতে বিভিন্ন দেশ থেকে প্রয়োজনীয় গোলাবারুদ সংগ্রহ করে। সংবেদনশীল প্রতিরক্ষা বিষয়ে অজ্ঞতাপ্রসুত মতামত অনভিপ্রেত, অযাচিত ও আপত্তিকর।
 
প্রতিবাদলিপিতে এ কথাও উল্লেখ করা হয়েছে যে, সাংবাদিকতার সঠিক রীতি অনুসরণ করার বিপরীতে, উক্ত সংবাদপত্রটির অনলাইন সংস্করণে প্রতিবেদন প্রকাশের পূর্বে বাংলাদেশের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) কোনো মন্তব্য বা ব্যাখ্যা গ্রহণ করেনি। এটি উপেক্ষা করায় প্রতিবেদনের নিরপেক্ষতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও গুরুতর প্রশ্ন তোলে।

আইএসপিআর জানায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তথ্যের স্বচ্ছতা এবং সঠিক তথ্য প্রচারের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাই গণমাধ্যমে কোনো প্রতিবেদন প্রকাশের পূর্বে নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে তথ্য যাচাই করতে বিনীতভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে।