দেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় নিয়ে যেতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ সরকার : হাসান মাহমুদ
সরকার দেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় নিয়ে যেতে চাই জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘সে কারণেই বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একশটি অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরির ঘোষণা দিয়েছেন। চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে দেশের সর্ববৃহৎ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কাজ চলছে, ইতিমধ্যে কয়েকটি ইন্ডাস্ট্রি উৎপাদনে গেছে। একশটি অর্থনৈতিক অঞ্চল যখন প্রতিষ্ঠা হবে তখন পুরো দৃশ্যপট বদলে যাবে।’
শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রামে রোটারি ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিক্ট কনফারেন্স-২০২১ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শুধু বস্তুগত উন্নয়ন দিয়ে উন্নয়ন কখনো টেকসই হয় না, পাশাপাশি মানুষের আত্মিক উন্নয়ন প্রয়োজন বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘আমরা এমন একটি রাষ্ট্র রচনা করতে চাই, যেটি বস্তুগত উন্নয়নের দিক দিয়ে একটা উন্নত রাষ্ট্র হবে, একই সাথে একটি মানবিক রাষ্ট্রও গঠন হবে। যে উন্নয়ন বস্তুগত হবে, কিন্তু বাবা-মা’কে বৃদ্ধাশ্রমে দিয়ে দিবে, রাস্তায় দুর্ঘটনা হবে মানুষ কাতরাবে, কিন্তু পাশ দিয়ে যাওয়া কেউ ফিরে তাকাবেনা, পুলিশ এসে লাশ নিয়ে যাবে সেই উন্নয়ন ও সমাজ আমরা চাই না।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সমস্ত প্রতিকূলতার মধ্যেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এবং মাথাপিছু কৃষি জমির পরিমাণ সর্বনিম্ন হওয়ার পরও ঝড় বন্যা জলোচ্ছ্বাস মোকাবেলা করে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে যা পৃথিবীকে নয় শুধু বিশ্ব খাদ্য সংস্থাকেও অবাক করে দিয়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ধান উৎপাদনে পৃথিবীতে তৃতীয়, সবজি উৎপাদনে চতুর্থ, মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে চতুর্থ, আলু উৎপাদনে সপ্তম। অথচ আয়তনের দিক দিয়ে পৃথিবীতে ৯২তম। এটি সম্ভবপর হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঠিক নেতৃত্ব, সরকারের উদ্যোগে কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ করা এবং আমাদের কৃষকসহ বিপুল জনগোষ্ঠির পরিশ্রম।’
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০তম বর্ষে মানব উন্নয়ন, সামাজিক ও অর্থনৈতিকসহ সমস্ত সূচকে আমরা অনেক আগেই পাকিস্তানকে অতিক্রম করেছি। মানব উন্নয়ন ও সামাজিক সূচকে ভারতকেও অনেক আগে অতিক্রম করেছি। সাম্প্রতিক সময়ে আমরা মাথাপিছু আয়ের ক্ষেত্রেও ভারতকে অতিক্রম করেছি, এটি চাট্টিখানি কথা নয়।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘করোনা মহামারির মধ্যে ২০২০ সালে পৃথিবীতে মাত্র ২০টি দেশে পজিটিভ জিডিপি গ্রোথ রেট হয়েছে। সেই ২০টির মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। করোনা মহামারির মধ্যে আমাদের মাথাপিছু আয় ২০০ ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে।’
কনফারেন্সের আহ্বায়ক মো. তৈয়বের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন রোটারি ইন্টারন্যাশনালের প্রেসিডেন্টের প্রতিনিধি পিডিজি কেএম জয়নুল আবেদীন, জেলা গভর্নর ড. বেলাল উদ্দিন আহমেদ, রোটারিয়ান ফাতেমা জেবুন্নেছা প্রমুখ।