ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করলো টাইগাররা


প্রকৌশল নিউজ ডেস্ক :
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করলো টাইগাররা
  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচেও হারিয়ে হোয়াইটওয়াশ করার কৃতিত্ব দেখালো টাইগাররা। যদিও আগের ম্যাচে জয়ের মাধ্যমেই সিরিজটি নিজেদের করে নিয়েছিল বাংলাদেশ। ফলে ওয়ানডে সিরিজটি বাংলাদেশ জিতে নিলো ৩-০ ব্যবধানে।

সোমবার শেষ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১২০ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। 

টস হেরে চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নামতে হয় বাংলাদেশকে। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ছয় উইকেটে ২৯৭ রান করে টাইগাররা। দলের হয়ে হাফসেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ। 

তবে দিনের শুরুটা টাইগারদের হয়েছে নড়বড়ে। ইনিংসের প্রথম ওভারেই বিদায় নেন ওপেনার লিটন দাস। এরপর নবম ওভারে শান্তকে সাজঘরে পাঠান কাইল মেয়ার্স। কাইল মেয়ার্সের অফ স্টাম্পের ভেতরে করা বল ব্যাটে লাগাতে পারেননি শান্ত। আম্পায়ার এলবির আবেদনে সাড়া দিলে রিভিউ নেন শান্ত। কিন্তু তাতে রিভিউতে সিদ্ধান্ত পাল্টায়নি।

উইকেটে থিতু হয়ে ৭০ বলে হাফসেঞ্চুরি করেন অধিনায়ক তামিম। ওয়ানডেতে বাঁহাতি এই ওপেনারের ৪৯তম হাফসেঞ্চুরি এটি। এর আগের ম্যাচেও হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন এই ওপেনার। ৬৪ রানে ফিরেছেন তিনি। ৮০ বলে তাঁর ইনিংসে ছিল তিনটি বাউন্ডারি ও একটি ছক্কা। সেই সাথে সাকিবও তুলে নেন তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৪৮তম হাফসেঞ্চুরি। কিন্তু উইকেটে থিতু হয়েও ইনিংস আর বড় করতে পারেননি তিনি। হাফসেঞ্চুরির পর ৫১ রানে ফিরে যান সাজঘরে। ৮১ বলে তাঁর ইনিংসটি সাজানো ছিল তিন বাউন্ডারি দিয়ে।

এরপর মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে জুটি বাঁধেন মুশফিকুর রহিম। ৪৭ বলে ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তিনি। মুশফিকের সঙ্গে মাহমুদউল্লাহও খেলেন হাতখুলে। দুজনে মিলে গড়েন ৭২ রানের জুটি। এর মধ্য ৬৪ রানে বিদায় নেন মুশফিক। ৫৫ বলে তাঁর ইনিংসটি সাজানো ছিল চার বাউন্ডারি ও দুই ছক্কায়।

মুশফিক ফেরার পর সৌম্যকে নিয়ে এগিয়ে যান মাহমুদউল্লাহ। মাঝে সৌম্য রান আউট হয়ে ফিরলে শেষ পর্যন্ত মাহমুদউল্লাহর দারুণ ফিনিশিংয়ে ২৯৭ রানে থামে বাংলাদেশ। ৬৪ রানে অপরাজিত থাকেন মাহমুদউল্লাহ।

২৯৮ রানে জয়ে লক্ষে খেলতে নেমে মাত্র ৭ রানেই নিজেদের প্রথম এবং ৩০ রানের মধ্যেই দ্বিতীয় উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বোলিংয়ে শুরুতেই বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দেন মুস্তাফিজুর রহমান। বাঁহাতি পেসারের জোড়া আঘাতে ফিরে গেছেন দুই ক্যারিবীয় ওপেনার সুনীল আমব্রিস ও কিওর্ন ওটলি। এরপর কাইল মেয়ার্সকে ফেরান মেহেদী হাসান মিরাজ। উইকেটে থিতু হওয়া জেসনকে সাজঘরে পাঠান সাইফউদ্দিন। দলীয় ৭৯ রানে আউট হন তিনি। এরপর আর তেমন কোন বড় জুটি গড়তে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলীয় ৯৩ রানে ৫ম উইকেট হিসেবে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের বলে আউট হন এন বেনন। এরপর উকেটরক্ষক হ্যামিলটন মেহেদী হাসানের বলে আউট হন দলীয় ১১৭ রানে। 

এরপর ৩৮ রানের একটি জুটি গড়ে উঠে পাওয়েল ও রেইফারের মধ্যে। তবে দলীয় ১৫৫ রানে আউট হন পাওয়েল। এরপর ১৭৪ রানে আউট হন জোসেফ।  ১৭৫ রানে  সাজঘরে ফেরেন আকিয়াল হোসেন ও সর্বশেষ উইকেট হিসেবে ১৭৭ রানে আউট হন রেইফার।

বাংলাদেশের পক্ষে ম্যাচে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। মুস্তাফিজুর রহমান ও মেহেদী হাসান মিরাজ নেন ২টি করে উইকেট। এছাড়া তাসকিন আহমেদ ও সৌম্য সরকার  নেন ১টি করে উইকেট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ: ২৯৭/৬, ৫০ ওভারে (তামিম ৬৪, সাকিব ৫১, মুশফিক ৬৪, মাহমুদউল্লাহ ৬৪*; জোসেফ ২/৪৮, রেইফার ২/৬১ ও মেয়ার্স ১/৩৪)।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৭৭, ৪৪.২ ওভারে (পাওয়েল ৪৭, বনার ৩১, রিফার ২৭; সাইফ ৩/৫১, মুস্তাফিজ ২/২৪, মিরাজ ২/১৮, তাসকিন ১/৩২, সৌম্য ১/২২)।

ফল: বাংলাদেশ ১২০ রানে জয়ী।

সিরিজ: তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে জিতেছে বাংলাদেশ।

ম্যাচ সেরা: মুশফিকুর রহিম।

সিরিজ সেরা: সাকিব আল হাসান।