যে কারণে নিষিদ্ধ হিথ স্ট্রিক


প্রকৌশল নিউজ:
যে কারণে নিষিদ্ধ হিথ স্ট্রিক
  • Font increase
  • Font Decrease

জিম্বাবুয়ের সাবেক অধিনায়ক ও লিজেন্ড হিথ স্ট্রিক আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী বিধি ভাঙায় আট বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন। অভিযোগ উঠার পর প্রথমে বিরোধিতা করলেও পরে নিজের দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। হিথ স্ট্রিক বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক বোলিং কোচ ছিলেন। বুধবার আইসিসির দেওয়া এক বিবৃতি অনুযায়ী, ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত জিম্বাবুয়ে এবং বিভিন্ন ঘরোয়া দলের কোচ থাকার সময় আইসিসির দুর্নীতি-বিরোধি ধারা ভংগ করেছেন তিনি।

হিথ স্ট্রিকের বিরুদ্ধে যে ৫ অভিযোগ:

১. আইসিসি কোড অব কন্ডাক্টের অনুচ্ছেদ ২.৩.২ ভঙ্গ:
দলের আভ্যন্তরীণ তথ্য ফাঁস করে দেওয়া। যেখানে তার জানা থাকা উচিত (কোড অব কন্ডাক্ট অনুযায়ী) এটা বেটিং এর কাজে সাহায্য করা। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ, জিম্বাবুয়ে ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার ত্রিদেশীয় সিরিজে দলের গোপন তথ্য ফাঁস করেছিলেন তিনি। এছাড়া ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ে ও আফগানিস্তানের মধ্যকার সিরিজ, ২০১৮ আইপিএল ও ২০১৮ এপিএলেও একই কাজ করেছিলেন তিনি।

২. ২.৩.৩ ভঙ্গ:
এই কোড অব কন্ডাক্টে বলা আছে কাউকে কোড অব কন্ডাক্ট ভাঙে এমন কোন কাজ করতে প্ররোচিত করা যাবে না। হিথ স্ট্রিক চার ভিন্ন ভিন্ন ক্রিকেটারকে (যাদের মধ্যে একজন জাতীয় দলের অধিনায়ক) দলের ভেতরের তথ্য দিতে প্ররোচিত করেন।

৩. ২.৪.২ ভঙ্গ:
কোড অব কন্ডাক্ট অনুযায়ী অন্যায়ভাবে (কোড অব কন্ডাক্ট ভঙ্গের কাজের জন্য) কোন উপহার, অর্থ বা কোন সুযোগ সুবিধা পাবার অফার পেলে তা জানাতে হয়। তবে হিথ স্ট্রিক তা করেননি।

৪. ২.৪.৪ ভঙ্গ:
এসিইউ (এন্টি করাপশন ইউনিট) কে কোন অন্যায় কাজের প্রস্তাব পেলে তা পূর্নাঙ্গভাবে জানাতে হয়। তবে আন্তর্জাতিক কিছু ম্যাচে, ২০১৭ সালের বিপিএলের কিছু ম্যাচে, ২০১৮ সালের পিএসএল, ২০১৮ সালের আইপিএল ও এপিএলে এমন প্রস্তাব পেয়েও তা এসিইউকে জানাননি হিথ স্ট্রিক।

৫. ২.৪.৭ ভঙ্গ:
কোন তদন্তে বাঁধা দেওয়া, ইচ্ছে করে দেরি করা, গোপন করা, তদন্তের সাথে সম্পর্কিত কোন নথি ধ্বংস করা আইসিসির কোড অব কন্ডাক্ট বিরোধী। হিথ স্ট্রিক সেটিই করেছেন।

২০১৮ সালে বাংলাদেশে শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়েকে নিয়ে হওয়া ত্রিদেশীয় সিরিজ, জিম্বাবুয়ে-আফগানিস্তান সিরিজ, ২০১৮ সালের আইপিএল, আফগানিস্তান প্রিমিয়ার লিগ, এবং এর আগে ২০১৭ সালের বিপিএলে সম্পৃক্ত থাকার সময় বিভিন্ন তথ্য পাচার করেছেন তিনি, আইসিসির অভিযোগে বলা হয়েছে এমন। একজন জাতীয় দলের অধিনায়কসহ অন্তত চারজন ক্রিকেটারকে জুয়া বা বাজির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার অভিযোগও