সাতক্ষীরা হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ৪ জনের মৃত্যু


প্রকৌশল প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরা হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ৪ জনের মৃত্যু
  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে গত ২৪ ঘন্টায় ৪জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের ২জন নারী ও ২জন পুরুষ রয়েছে।

মৃত্যুববরণকারীরা হলেন, সাতক্ষীরা সদরের শাখরা কোমরপুর এলাকার বিলাত আলির ছেলে রুহুল্লাহ কুদ্দুস (৫৫), সাতক্ষীরা পৌরসভার মুন্সিপাড়া এলাকার মৃত বজলুর রহমানের ছেলে কামরুজ্জামান (৬৪), সদরের পরানদহ এলাকায় মৃত গোলাম মোড়লের স্ত্রী রুপবান(৫৫), সদরের আখড়খোলা আমতলা এলাকার আব্দুল খালের স্ত্রী রিজিয়া খাতুন(৩৪)।

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ফোকাল পার্সন ডা: মানষ কুমার মন্ডল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার ৯৫ জনের করোনা টেষ্ট করে ৪৮জনের পজিটিভ এসেছে। যার আক্রান্তের হার ৪৫.৬ ভাগ। জেলায় এপর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়েছে ২,১৪৫জন।জেলার হাসপাতাল গুলোতে মোট করোনা পজিটিভ চিকিৎসাধীন আছে ৫৪৯ জন। এপর্যন্ত জেলায় করোনায় মৃত্যু ৪৯ জন ও করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে ২৩৯ জন। 

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার থেকে বুধবার পর্যন্ত বুধবার পর্যন্ত  ২৪ ঘন্টায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মৃত্যুবরণ করেন ৪ জন।  বুধবার করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪৮ জনের। এ সময় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে ৯৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনাক্তের হার ৫০ দশমিক ৫৩ শতাংশ। মঙ্গলবার সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করা হয় ১৮২ জনের। এরমধ্যে ১০৮ জনের অর্থাৎ ৫৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং সোমবার নমুনা পরীক্ষা করা হয় ১৮৭ জনের। এরমধ্যে পজিটিভ পাওয়া যায় ১০৩ জনের অর্থাৎ ৫৫ দশমিক ৮ শতাংশ।

তবে বুধবার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে গত দু’দিনের অর্ধেক। হটাৎ করে নমুনা পরীক্ষা কমানোর কারণ সম্পর্কে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ জয়ন্ত কুমার সরকার জানান, নমুনা কম সংগ্রহ হয়েছে। যে কারণ পরীক্ষাও কম হয়েছে।   

ঈদের পর গত ২৩ মে থেকে সাতক্ষীরা জেলায় করোনার উর্দ্ধমুখি সংক্রামন শুরু হয়। এক পর্যায়ে জেলা প্রশাসন গত ৫ জুন থেকে জেলাব্যাপি এক সপ্তাহের বিশেষ লকডাউন ঘোষণা করে। লকডাউন বাস্তবায়নে সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্নস্থানে পুলিশ কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে। এদিকে সাতক্ষীরা সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে বিজিবি’র অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

প্রকৌশল নিউজ/সাতক্ষীরা প্রতিনিধি/এমআরএস