মিজানুর রহমানের প‌রিবারকে সহায়তার আশ্বাস তথ‌্যমন্ত্রীর


প্রকৌশল নিউজ :
মিজানুর রহমানের প‌রিবারকে সহায়তার আশ্বাস তথ‌্যমন্ত্রীর
  • Font increase
  • Font Decrease

সাংবা‌দিক মিজানুর রহমান খানের পরিবারকে সকল ধর‌নের সহ‌যোগিতা করার আশ্বাস ‌দিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, “মিজানুর রহমান খান তার সন্তানদের নিয়ে যে স্বপ্ন দেখতেন তার সফলতা কামনা ক‌রি। আমরা সরকারের কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে তাদের সহায়তা করবো।”

মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) দুপু‌রে জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে বিশিষ্ট সাংবাদিক ও প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খানের তৃতীয় নামাজে জানাজা সম্পন্ন হওয়ার আ‌গে তিনি এসব কথা ব‌লেন।

এর আগে সকাল ১০টা ১০ মিনিটের দিকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে মিজানুর রহমান খানের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বেলা ১১টার দিকে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) প্রাঙ্গণে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, “দুই দশক আগে তিনি দৈনিক মুক্তকণ্ঠ পত্রিকায় আমার সহকর্মী ছিলেন। তার হাসি ছিলো খুবই অমায়িক। তিনি শুধুই সাংবাদিক ছিলেন না। এর বাহিরে তিনি একজন গবেষক ছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্র নিয়েও গবেষণা করছেন।”

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “মিজানুর রহমান খানের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত ঘনিষ্ঠতা ছিল। মিজানুর রহমান খান সাংবাদিকতার উজ্জ্বল নক্ষত্র। আমরা তাকে সৎ নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে দেখেছি। বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করেছেন, চাপের কাছে কখনও নতি স্বীকার করেননি। আমি মিজানুর রহমান খানের আত্মার শান্তি কামনা করছি।”

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, কোষাধ্যক্ষ শাহেদ চৌধুরী, গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ, মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম, মিজানুর রহমানের ভাই সিদ্দিকুর রহমান খান।

বাদ আসর তাঁর মরদেহ রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে।

প্রসঙ্গত সোমবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিজানুর রহমান খান মারা যান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর। তিনি মা, স্ত্রী, তিন সন্তান, পাঁচ ভাই, তিন বোনসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।