মেট্রোরেলের প্রথম ট্রেন দেশের মাটিতে


প্রকৌশল নিউজ ডেস্ক :
মেট্রোরেলের প্রথম ট্রেন দেশের মাটিতে
  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানী ঢাকাবাসীর বহুল আকাঙ্খিত প্রথম মেট্রোরেলের ট্রেন বাংলাদেশে এসেছে পৌঁছেছে। মেট্রোরেলের কোচ বহনকারী জাহাজটি বুধবার বিকেলে মোংলা বন্দরে ভিড়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে রাতে এবং আগামীকাল বগিগুলো খালাস করে বার্জে তোলা হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) কর্তৃপক্ষ।

ডিএমটিসিএল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রথম চালানে মেট্রোরেলের একটি ট্রেন বাংলাদেশে এসেছে। এই ট্রেনের কোচের সংখ্যা ছয়টি। এগুলো আলাদা আলাদা আচ্ছাদন দিয়ে মুড়িয়ে আনা হয়েছে। বার্জে তোলার পর শুল্ক কর্তৃপক্ষের আনুষ্ঠানিকতা সম্পাদন করা হবে। এতে ১০ দিন সময় লাগতে পারে। এরপরই ঢাকার পথে রওনা হবে। উত্তরার কাছে নদীতে এসে থামবে। সেখান থেকে বড় ট্রলিতে করে উত্তরায় মেট্রোরেলের ডিপোতে রাখা হবে।

এরআগে, জাপানে তৈরি হওয়া মেট্রোরেলের কোচগুলো ৪ মার্চ কোবে বন্দর থেকে জাহাজে তোলা হয়। মোংলা পৌঁছাতে ৩০ দিন লাগতে পারে, এমন ধারণা দেওয়া হয়েছিল। তবে এর আগেই চলে এসেছে।

সূত্র জানায়, জাপানের কাওয়াসাকি–মিতসুবিশি কনসোর্টিয়ামকে ২৪ সেট ট্রেন নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হয় ২০১৭ সালে। দুপাশে দুটি ইঞ্জিন আর চারটি কোচের সমন্বয়ে ট্রেনের সেটগুলো তৈরি হচ্ছে জাপানে। এরই মধ্যে প্রস্তুত হয়েছে পাঁচ সেট ট্রেন, যার প্রথমটি দেশে এসে পৌঁছেছে। দ্বিতীয় সেট ট্রেনটি জাপান থেকে ১৫ এপ্রিল রওনা হওয়ার কথা রয়েছে। সেটি পৌঁছাতে পারে ১৬ জুন। আর তৃতীয় ট্রেনটি ১৩ জুন রওনা দিয়ে ১৩ আগস্ট পৌঁছাতে পারে। বাকি দুটি সেটের আসার সময়সীমা এখনো ঠিক হয়নি।

সব মিলে ২৪ সেট ট্রেনের দাম পড়ছে ৩ হাজার ২০৮ কোটি ৪২ লাখ টাকা। শুল্ক ও ভ্যাট মিলিয়ে এসব ট্রেন বাংলাদেশে আনার পর মোট খরচ হবে ৪ হাজার ২৫৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। ট্রেনগুলোয় ডিসি ১৫০০ ভোল্টেজ বিদ্যুৎ সরবরাহব্যবস্থা থাকবে। স্টেইনলেস স্টিল বডির ট্রেনগুলোয় থাকবে লম্বালম্বি সিট। প্রতিটি ট্রেনে থাকবে দুটি হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত প্রতিটি বগির দুপাশে থাকবে চারটি করে দরজা। জাপানি স্ট্যান্ডার্ডের নিরাপত্তাব্যবস্থা–সংবলিত প্রতিটি টেনের যাত্রী ধারণক্ষমতা হবে ১ হাজার ৭৩৮ জন। ভাড়া পরিশোধের জন্য থাকবে স্মার্ট কার্ড টিকিটিং ব্যবস্থা।