এই শীতে ঘুরে আসতে পারেন সাজেক ভ্যালি

এই শীতে ঘুরে আসতে পারেন সাজেক ভ্যালি

শীতের শুরুতেই অপরূপ সাজে সেজেছে প্রকৃতির রাণী রাঙ্গামাটির সাজেক ভ্যালি। পাহাড়ে চূড়ায় ভেসে বেড়াচ্ছে সাদা মেঘের ভেলা। সাদা মেঘের আড়ালে সাজেকের পাহাড়ে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত যেন এক স্বর্গীয় রূপ। প্রকৃ‌তির এই সৌন্দ্যর্য উপভোগ করতে যারা মন‌স্থির করেছেন, তারা ঘুরে আসতে পারেন সাজেক থেকে। ভাবছেন সাজেক যাবো কীভাবে? চিন্তা নেই খাগড়াছ‌ড়ি জেলার শাপলা চত্বরে গেলেই দেখা যাবে সা‌রি সা‌রি জিপ, চান্দের গাড়ি, সিএন‌জি। দরদাম করে গ্রুপ করে ঘুরে আসা যায় সাজেক। শাপলা চত্বর থেকে সা‌জেক ভ্যা‌লির দূরত্ব ৬৭ কি‌লোমিটার।

খাগড়াছ‌ড়ি জেলা জিপ মা‌লিক স‌মি‌তির চার্ট অনুযায়ী পিকআপ ভ্যান দি‌নে গি‌য়ে দি‌নে ফির‌লে ৫ হাজার ১০০ টাকা। আর য‌দি সা‌জে‌কে রা‌ত্রি যাপন করেন তাহ‌লে ভাড়া গুনতে হ‌বে ৭ হাজার ১০০ টাকা। এক পিকআপে যাওয়া যায় ১০ জন।

আর যারা জিপে চড়ে যেতে চান তা‌দের ভাড়া হি‌সে‌বে গুণ‌তে হ‌বে ৪ হাজার ৬০০ টাকা। কেউ য‌দি রা‌ত্রি যাপন করেন তাহ‌লে ভাড়া হ‌বে ৬ হাজার ৬০০ টাকা। এছাড়া সিএন‌জি দিনে গিয়ে দি‌নে আস‌লে খরচ পড়বে ৩ হাজার টাকা। আর রা‌ত্রি যাপন করলে খরচ পড়বে ৪ হাজার ৫০০ টাকা।

এসব গাড়ি খাগড়াছ‌ড়ি জেলার দী‌ঘিনালা উপজেলার বাঘাইহাট নামক স্থানে সারিবদ্ধভাবে অপেক্ষা করতে হয় সেনাবাহিনী অনুমতির জন্য। বাঘাইহাটে সেনাবা‌হিনীর চেক পোস্টে গিয়ে গাড়ির চালক এবং পর্যটকদের গ্রুপের একজনের নাম লি‌পিবদ্ধ করতে হয়। সেখান থেকে গাড়ির সি‌রিয়াল নম্বর দেওয়ার পর সকাল সাড়ে ১০টায় সেনাবা‌হিনীর অনুমতিতে ছুটে চলে পর্যটকদের গাড়ি। আবার বিকেল সাড়ে ৩টায় ফির‌তি ট্রিপেও সেনাবা‌হিনীর অনুমতির দরকার হয়।

সাজেকে থাক‌তে চাই‌লে সা‌জেক রি‌সোর্ট, খেয়াল বুক , নি‌রি‌বি‌লি রি‌সোর্টসহ বেশ কিছু রিসোর্ট র‌য়ে‌ছে। এসব রি‌সোর্ট আগে থেকে বু‌কিং দি‌য়ে রাখ‌তে হয়। আবার সাজেক গিয়েও রি‌সোর্ট ভাড়া পাওয়া যায়। এক যুগ আগেও ‌নিরাপত্তার অভাবে সাজেকে সেভাবে যেতেন না পর্যটকরা। এখন সেনাবা‌হিনীর সহযো‌গিতায় পর্যটকদের সেখানে যাওয়া অনেকটাই সহজ হয়েছে।