সাতক্ষীরার শ্যামনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকট
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি নানা সমস্যায় জর্জরিত। বতর্মান সময় দেশে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় স্বাস্থ্যবিভাগ হিমসিম খাচ্ছে। ঠিক সেই সময় শ্যামনগর হাসপাতালটি করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এখানে প্রয়োজনীয় লোকবলসহ সেন্ট্রাল অক্সিজেনের অভাবে ভেঙ্গে পড়েছে চিকিৎসা ব্যবস্থা।
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি নানা সমস্যায় জর্জরিত। বতর্মান সময় দেশে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় স্বাস্থ্যবিভাগ হিমসিম খাচ্ছে। ঠিক সেই সময় শ্যামনগর হাসপাতালটি করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এখানে প্রয়োজনীয় লোকবলসহ সেন্ট্রাল অক্সিজেনের অভাবে ভেঙ্গে পড়েছে চিকিৎসা ব্যবস্থা।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, করোনা রোগীদের জন্য পাঁচটি বেড প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। স্বাভাবিক অক্সিজেন সিলিন্ডার থাকলেও সেন্ট্রাল অক্সিজেন ও হাইফ্লোনেজাল ক্যানুলা না থাকায় করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া যাচ্ছে না। গত ১ সপ্তাহে সাতক্ষীরা শ্যামনগরে করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে প্রায় ১০০ জন। আর মৃত্যু বরন করেছে দুই জন। আইলা বিধ্বস্থ অবহেলিত এ জনপদের সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন লোকবল সংকট ও সেন্ট্রাল অক্সিজেন না থাকার কারণে।
সাতক্ষীরা শ্যামনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ২০০৮ সালের ১৫ মে ৩০ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নিত করা হয়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৩০ শয্যা থাকাকালিন যে সুবিধা ছিল ৫০ শয্যার ক্ষেত্রেও একই সুবিধা রয়েছে। হাসপাতালে প্রতিনিয়ত এক’শ রোগী ভর্তি থাকে। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির সুবিধা থাকলেও লোকবলের অভাবে সেগুলি চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। যার কারণে গরীব রোগীদের বিভিন্ন ক্লিনিক সহ জেলা শহরে ছুটতে হয়। সে ক্ষেত্রে অর্থনৈতিকসহ নানা বিড়ম্বনার শিকার হয়ে অকালে মৃত্যুবরণ করতে হয় অনেক রোগীকে। পরীক্ষা নিরিক্ষার জন্য সব ধরণের সুবিধা থাকলেও সে গুলো অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে। লোকবলের অভাবে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে হাসপাতালটি।
শ্যামনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তারদের পদের সংখ্যা ৩৩ হলেও ডাক্তার আছেন মাত্র ৮ জন। সেবিকা ২৫ জন থাকার স্থলে আছে ১২ জন। এছাড়া শ্যামনগর হাসপাতালে বিভিন্ন পদ খালি আছে ৭২জন। উপজেলা সদরসহ প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে প্রতিদিন ২ থেকে ৩ শতাধিক রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে এসে বঞ্চিত হয়ে ফিরে যায় বিভিন্ন ক্লিনিকসহ জেলা শহরে।
শ্যামনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা (টিএইচএ) ডাক্তার অজয় কুমার সাহা জানান, করোনা রোগীদের অক্সিজেন সার্কুলেশন কমে গেলে, যেই পদ্ধতিতে অক্সিজেন সরবরাহ করা হয় বা থ্যারাপী দেওয়া হয়। সেই পদ্ধতিতে হাইফ্লোনেজাল ক্যানুলা হাসপাতালে নেই। আর সেন্টাল অক্সিজেন ছাড়া সম্ভাব্য হাইফ্লোনেজাল ক্যানুলা দেওয়া যায়না। এ দু-টিই হাসপাতালে নেই বলে জানান তিনি। আর লোকবলের অভাবে সঠিক সেবা দেওয়া কষ্টকর। তারপরও আনুসাঙ্গিক জনবল নিয়ে চিকিৎসা সেবা দিতে যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।