শিশু পর্নোগ্রাফিতে জড়িত থাকায় গ্রেফতার মিরাজ

দেশি-বিদেশি উঠতি বয়সী শিশুদের নিয়ে পর্নোগ্রাফি, ভিডিও সংগ্রহ ও বিভিন্ন ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট খুলে আপলোড করার অভিযোগে এক ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করেছে সিটিটিসি’র সাইবার অপরাধ তদন্ত বিভাগ। গ্রেফতার হওয়া ওই ব্যাক্তির নাম কে. এম মিরাজুল আজম।

শিশু পর্নোগ্রাফিতে জড়িত থাকায় গ্রেফতার মিরাজ

দেশি-বিদেশি উঠতি বয়সী শিশুদের নিয়ে পর্নোগ্রাফি, ভিডিও সংগ্রহ ও বিভিন্ন ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট খুলে আপলোড করার অভিযোগে এক ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করেছে সিটিটিসি’র সাইবার অপরাধ তদন্ত বিভাগ। গ্রেফতার হওয়া ওই ব্যাক্তির নাম কে. এম মিরাজুল আজম।  

রোববার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিটিটিসি’র ‘সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগের’ অতিরিক্ত উপ-কমিশনার(এডিসি) নাজমুল ইসলাম।

তিনি জানান,গত ২৯ ডিসেম্বর রাজধানীর মুগদার অতীশ দীপঙ্কর সড়কের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে মিরাজুল আজমকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় শিশু পর্নগ্রাফির কাজে ব্যবহৃত তার মোবাইল ফোন ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আইডি জব্দ করা হয়।


নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘অভিযুক্ত ব্যক্তি অনলাইনে উঠতি বয়সী শিশুদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পর্নো ছবি ও ভিডিও সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও সরবরাহসহ তাদের নিজেদের পর্ন ছবি ও ভিডিও প্রদান করতে উৎসাহিত করতেন। তাছাড়া দেশি- বিদেশি শিশুদের কাছ থেকে তাদের পর্ন ছবি ও ভিডিও সংগ্রহ করে তা বিভিন্ন ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট খুলে আপলোড করতো। অভিযুক্ত তার ব্যবহৃত হোয়াটসঅ্যাপ আইডিতে ভারতীয় অপ্রাপ্ত বয়স্ক এক কিশোরী ভিকটিমের ব্যক্তিগত অশ্লীল ভিডিও বিভিন্ন স্যোশাল প্ল্যাটফর্মে ভাইরাল করার হুমকি দেয়। পাশাপাশি ভিক্টিমের কাছ থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার ভারতীয় রূপি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে দেওয়ার জন্য দাবি করে।’

তিনি বলেন, ‘সাইবার টেরোরিজম ইনভেস্টিগেশন টিম, সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ, ঢাকা কম্পিউটার সিস্টেম ব্যবহার করে বিভিন্ন স্যোশাল মিডিয়া মনিটরিংয়ের তথ্যের ভিত্তিতে সাইবার পেট্রোলিং করার সময় এই অভিযুক্তের সন্ধান পাই ও প্রাযুক্তিক সহায়তার মাধ্যমে মিরাজুল আজমকে গ্রেফতারে সক্ষম হই।’

রমনা মডেল থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।