কক্সবাজারে তালাশ টিমের উপর হামলা, ক্র্যাবের নিন্দা ও প্রতিবাদ

কক্সবাজারে তালাশ টিমের উপর হামলা, ক্র্যাবের নিন্দা ও প্রতিবাদ

পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে হামলার স্বীকার হয়েছেন ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার নাজমুল সাঈদ ও সিনিয়র চিত্র সাংবাদিক কাজী মোহাম্মদ ইসমাইলসহ স্থানীয় কোহেলিয়া টিভির সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন রাব্বানী।

রবিবার (১০ মার্চ) সন্ধ্যায় কক্সবাজারের রাজভীর রিসোর্টে হোটেলে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে তাদের উপর হামলা করেন রিসোর্টের মালিক নোমানুল হক সাজিমসহ তার বাহিনী।

এ ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ক্র্যাব)।

ক্র্যাবের দফতর সম্পাদক কামাল হোসেন তালুকদারের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ প্রতিবাদ জানানো হয়। সংগঠনটির সভাপতি কামরুজ্জামান খান ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়,  কক্সবাজারের পর্যটক এলাকায় হাত বাড়ালেই মাদক পাওয়া যায় তার একটি বাস্তব দৃশ্য ধারণ করার জন্য নাজমুল সাঈদ ও তার টিম তালাশ কক্সবাজারের রাজভীর রিসোর্টে অনুসন্ধানে যায়। সংবাদ সংগ্রহের স্বার্থে নগদ টাকা দিয়ে রুম বুক করেন।  ইয়াবা বিক্রি ও অসামাজিক কার্যাকলাপ গোপন ক্যামেরায় ধারণও করেন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পরে তালাশ টিমের পরিচয় দিয়ে সংশ্লিষ্ট রিসোর্ট মালিকের বক্তব্য নিতে গেলে উত্তেজিত হয়ে পড়েন মালিক নোমানুল হক সাজিম। এক পর্যায়ে হামলা ও ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালায়। এ সময় সাজিম বাহিনীর সদস্যরা তালাশ টিমকে চারিদিক থেকে ঘিরে রাখে। ঘটনার এক পর্যায়ে টিম তালাশকে ভুয়া প্রমাণ করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন সাজিম বাহিনী। তার মাসিক মাসোহারা ভুক্ত ভুয়া সাংবাদিকদের দিয়ে শুরু করেন অপপ্রচার। বাকবিতণ্ডার একটি খন্ডিত অংশ দিয়ে তার অপকর্ম ঢাকার মিশনে নেমে পড়েন সাজিম বাহিনী।

ইয়াবা ব্যবসাী সাজিমের মদদপুষ্ট স্থানীয় একটি পত্রিকাসহ বেশকিছু ভুঁইফোড় অনলাইনে মিথ্যা খবর প্রকাশ করতে থাকে একেরপর এক। অথচ, পুরো ঘটনা উল্টো।

তালাশ টিমের  উপর হামলার ঘটনায় কক্সবাজার সদর থানায় তালাশ টিমের পক্ষ থেকে সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইছার হামিদ জানান, কক্সবাজারে তালাশ টিমের উপর হামলার বিষয়ে আপাতত কোনো তথ্য দিতে পারছি না। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তালাশ টিমের পক্ষ থেকে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি। তদন্ত শেষ হলে বিস্তারিত জানাতে পারব।

উল্লেখ্য, রিসোর্ট মালিক সাজিম ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে ইয়াবা ব্যবসা ছিনতাই, চুরি, দখলসহ নানা অপরাধে ১৮টিরও বেশি মামলা রয়েছে। সাজিম এর আগেও বিভিন্ন অপরাধের কারণে গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছেন। কক্সবাজারের চিহ্নিত অপরাধীর তালিকাতেও রয়েছে তার নাম।