ভুয়া নিয়োগপত্র প্রদান করে অর্থ আত্মসাৎকারী চক্রের ৩ সদস্য গ্রেফতার
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নির্মানাধীন টার্মিনাল-৩ এ চাকুরী দেওয়ার নামে ভুয়া নিয়োগপত্র প্রদান করে প্রতারণামূলকভাবে অর্থ আত্মসাৎকারী চক্রের মূল হোতাসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
বৃহস্পতিবার সিআইডি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন - চক্রের মূল হোতা মোঃ জহিরুল ইসলাম সোহাগ (৫২), হেনা জহির (৫০) ও মিল্টন রায় ওরফে অপূর্ব অপু (২৮)।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দীর্ঘদিন ধরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর টার্মিনাল-৩ এ চাকুরী দেওয়ার নামে ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় অফিস খুলে ভুয়া নিয়োগপত্র প্রদান করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে আসছে একটি প্রতারকচক্র। এ বিষয়ে গত ১৯ জানুয়ারি ভুক্তভোগীরা সিআইডি কর্তৃপক্ষের কাছে এসে তাদের এই প্রতারণার শিকার হবার বিষয়টি জানান। পরবর্তীতে তারা রাজধানীর ভাটারা থানায় এ বিষয়ে একটি মামলাও দায়ের করেন।
এরই প্রেক্ষিতে সিআইডি রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকার ক/২৪/৪, সরকার মার্কেটের তৃতীয় তলায় দর্পন গ্রুপ অফ কোম্পানীর অফিসে অভিযান পরিচালনা করে এ চক্রের মূল হোতাসহ মোট ৩ জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন দর্পন গ্রুপ অফ কোম্পানীর চেয়ারম্যান মোঃ জহিরুল ইসলাম সোহাগ, প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেনা জহির ও ম্যানেজার মিল্টন রায় ওরফে অপূর্ব অপু।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, জিঞ্জাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানায়, তারা স্যামসাং গ্রুপের নামে একটি ভুয়া ওয়ার্ক অর্ডার প্রস্তুত করে। পরে তাদের প্রতিষ্ঠানের তৃতীয় তলায় ডিজিটাল ব্যানারে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর টার্মিনাল-৩ এ দক্ষ ও অদক্ষ লেবার ও সুপারভাইজার নিয়োগ দেওয়া হবে বলে একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ঝুলিয়ে রাখে। পরে তারা এই মামলার বাদীসহ আরও কমপক্ষে ১০০-১৫০ জন লোকের কাছ থেকে লেবার পদে চাকুরির জন্য ৫০ হাজার এবং সুপারভাইজার পদে চাকুরির জন্য ১ লক্ষ টাকা নিয়ে ভুয়া নিযোগপত্র প্রদান করে।
নিয়োগপত্রে কাজে যোগদানের নির্দিষ্ট তারিখ থাকলেও তারা নিয়োগপত্র গ্রহীতাদের কোন কাজে যোগদান করাইনি। বরং কাজে নিয়োগের বিভিন্ন সময় দিয়ে শুধুমাত্র কালক্ষেপন করেন। পরে ভুক্তভোগীরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে নির্মানাধীন টার্মিনাল-৩ এ চাকুরির জন্য দর্পন গ্রুপ অফ কোম্পানী বা অন্য কোন প্রতিষ্ঠনকে স্যামসং কোম্পানী কোন ওয়ার্ক অর্ডারই দেয়নি।
এ চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।