অপচিকিৎসার অভিযোগে ডাঃ হাফিজউল্লার বিরুদ্ধে মানববন্ধন


প্রকৌশল প্রতিবেদক :
অপচিকিৎসার অভিযোগে ডাঃ হাফিজউল্লার বিরুদ্ধে মানববন্ধন
  • Font increase
  • Font Decrease

অপচিকিৎসা ও গাফিলতির অভিযোগে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের অর্থপেডিক্স চিকিৎসক ও সাতক্ষীরা ট্রমা এন্ড অর্থপেডিক্স কেয়ার সেন্টারের স্বত্বাধিকারী ডাঃ মোঃ হাফিজউল্লার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।

সোমবার (৩০ আগস্ট) বেলা সাড়ে ২ টায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মাহমুদপুর বাদামতলা বাজারে এই মানববন্ধন পালিত হয়।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সহকারী কমান্ডার আব্দুল করিম সরদারের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন অপচিকিৎসায় পঙ্গুতের শিকার মাহমুদপুর গ্রামের কামরুল ইসলাম, স্ত্রী মেহেরুণনেছা, ব্যবসায়ী হাজী কওছার আলী, সাজ্জাত আলী সরদার, কলেজ ছাত্র আল-আমিন, রেজানুর রহমান প্রমূখ।

এসময় বক্তারা বলেন ২০২০ সালের ১৯ আগস্ট তিনি সাতক্ষীরা ভোমরা সড়কের মাহমুদপুরে এক দুর্ঘটনায় আহত হন কামরুল ইসলাম। তাকে দ্রুত নিয়ে আসা হয় সাতক্ষীরা ট্রমা অর্থোপেডিক কেয়ার সেন্টারে ডা. হাফিজউল্লার কাছে। তিনি তাকে চিকিৎসা দেন এবং ১৬ দিন সময় লাগবে বলে জানান। তার হাঁটুর নিচে পায়ের গোড়ালির ওপরে হাড়ের সমান্তরালে রড বসিয়ে রোগীকে ছাড়পত্র দেন একই বছরের ২২ সেপ্টেম্বর।

কামরুল ও তার স্ত্রী জানান তখনও ক্ষত শুকায়নি। আলগা ক্ষত অবস্থায় হাড়ও জোড়া লাগেনি। এমন অবস্থায় তাকে ছাড়পত্র দিয়ে ডাক্তার বলেন দৈনিক ১০টি ডিম ও ১০টি লেবু একসঙ্গে মিশিয়ে খাওয়াতে। তাতেই সব সেরে যাবে। আফসোস করে কামরুল জানান এরপরও বারবার সাতক্ষীরা ট্রমাতে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু হাড় জোড়া লাগে না। এমনকি মাংসে পচন ধরতে থাকে। হাড়ও নষ্ট হতে থাকে।

এ অবস্থায়ও ডাক্তার নিয়মিত ফি ছাড়াও চিকিৎসা সরঞ্জামের টাকা নিতে থাকেন এবং ট্রমা কেয়ার থেকে তাকে বারবার সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। 
নিরুপায় হয়ে কামরুল ইসলাম তার স্ত্রীকে নিয়ে সাতক্ষীরা সরকারি মেডিকেল কলেজের দুই ডাক্তারের আল নূর ক্লিনিকে যান। সেখানে ডা. এনামুল হক পলাশ ও ডা. আলমগীর কবির তাকে চিকিৎসা দেন।

এসময় তারা বলেন কামরুল ইসলামের হাড় ও মাংস নষ্ট হয়ে গেছে। বাধ্য হয়ে তারা পয়ের হাঁটুর নিচের অংশ কেটে ফেলেন। কামরুল হাসান জানান ট্রমা সেন্টারে তার চিকিৎসা, ওষুধপত্র এবং বিভিন্ন সরঞ্জামাদি কেনার জন্য সর্বনিম্ন ৫ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। আর তার শেষ পরিণতি হলো পা কেটে ফেলা। এ ঘটনার বিচার চান মানববন্ধনের বক্তারা।

এ ব্যাপারে ডাঃ হাফিজুল্লার বক্তব্য নেয়ার জন্যে তার মোবাইলে বার বার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

প্রকৌশলনিউজ/সু