নিঃস্ব হওয়ার পর ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার : হাইকোর্ট
অনলাইন ভিত্তিক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জ, ইভ্যালি, ডেসটিনি ও এহসান গ্রুপের মতো প্রতারণাকরী প্রতিষ্ঠানে টাকা বিনিয়োগ করে গ্রাহক নিঃস্ব হওয়ার পর সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) মাইক্রোক্রেডিটের (ক্ষুদ্রঋণ) নামে অনিবন্ধিত সুদের ব্যবস্থা বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের করা রিটের শুনানিতে বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি জাকির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নুর উস সাদিক চৌধুরী।
বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারক সাইফুর রহমান বলেন, ‘আমার বাড়ি কেন অরক্ষিত। আমার বাড়ি মানে বাংলাদেশ। দেশের মানুষ দরজা-জানালা বন্ধ করে শান্তিতে ঘুমাবে, কিন্তু আমার ঘর কেন অরক্ষিত। মানুষের টাকা কেন লুট করে নিয়ে যাচ্ছে দেশের বাইরে। এগুলো বন্ধ করা কাদের দায়িত্ব? এটা আমরা দেখতে চাই। আমরা এটা পরীক্ষা করতে চাই।’
তখন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নুর উস সাদিক বলেন, ‘মাই লর্ড, সরকার যে ব্যবস্থা নিচ্ছে না তা কিন্তু নয়। এহসান গ্রুপের প্রধানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে; ইভ্যালির মালিককেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
তখন বিচারক সাইফুর রহমান বলেন, ‘সরকার তো ব্যবস্থা নিচ্ছে কিন্তু সেটা কখন? যখন আমি নিঃস্ব হয়ে গেলাম, আমার রেমিডিটা কোথায়। আমার টাকাটা নিয়ে গেল আমি দ্বারে দ্বারে ঘুরতেছি। সে থানায় যাবে, জেলে যাবে যাক, কিন্তু আমার টাকাটা যে নিয়ে গেল সেটা কোথায়। আমরা মামলা করার পর চোর ধরা পড়ছে। চুরি তো ঠেকানো যাচ্ছে না।’
বিচারক সাইফুর রহমান আরও বলেন, ‘সরকারের কাজ কী? এ দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার, তাদের আইনের শাসন সমস্ত কিছু…। সেখানে সরকার ঠিকমতো কাজ করছে কি না আমরা দেখব।’
পরে এ বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর দিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট।
গত ৭ সেপ্টেম্বর সারাদেশের গ্রাম পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়া সুদ কারবারিদের তালিকা করার নির্দেশনা ও অনিবন্ধিত সুদের ব্যবসা বন্ধ চেয়ে রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন।
রিটে ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে বিবাদী করা হয়। ওই রিটের শুনানিতে আদালত এসব কথা বলেন।
প্রকৌশলনিউজ/সু