শাল্লায় হামলাঃ গ্রেপ্তার আরো ৩
সুনামগঞ্জের শাল্লায় হামলার ঘটনায় আরো তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (২০ মার্চ) রাতভর দিরাই ও শাল্লার বিভিন্ন স্থানে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
রোববার (২১ মার্চ) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক।
এ নিয়ে দুইটি মামলায় মোট ৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। মামলায় বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুকে) হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতা মামুনুল হককে নিয়ে ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করেছিলেন স্থানীয় হবিবপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের গোপেন্দ্র দাসের ছেলে ঝুটন দাস আপন। এর বিষয়টি ফেসবুকে ভাইরাল হলে রাতেই শশখাই বাজার থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।
এদিকে, কটূক্তির ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার (১৭ মার্চ) সকালে উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের ১৫/২০টি বাড়িঘর ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা।
এরপর বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) সকালে র্যাব সদর দপ্তর থেকে হেলিকপ্টারযোগে সুনামগঞ্জের শাল্লা আসেন র্যাবের মহা-পরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। এসময় তিনি হবিবপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামে দুর্বৃত্তদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর পরিদর্শন ও প্রেসব্রিফিং করে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শান্তি ও গ্রামবাসীকে নিরাপদে বসবাসের আশ্বাস দেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দেন। এরপর র্যাবের মহা-পরিচালকের নির্দেশে নোয়াগাঁও গ্রামে অস্থায়ী র্যাব ও পুলিশ ক্যাম্প বসানো হয়।
ওই দিন বিকেলে পৃথক দুইটি মামলা হয়। একটি মামলার বাদী শাল্লা থানার এসআই আব্দুল করিম। এ মামলায় অজ্ঞাতনামা দেড় সহস্রাধিকজনকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলার বাদী স্থানীয় হবিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ মজুমদার বকুল। মামলায় ৮০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৭০০ জনকে আসামি করা হয়।
প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস