সব খোলা, শপিংমল বন্ধ কেন?


প্রকৌশল প্রতিবেদক :
সব খোলা, শপিংমল বন্ধ কেন?
  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে বৃহস্পতিবার থেকে আগামী রোববারের মধ্যে দেশের সব শপিংমল ও দোকানপাট খুলতে চান ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, সবতো খোলাই রয়েছে, সেখানে শপিংমল ও দোকানপাট খুলে দিলে সমস্যা কোথায়?

লকডাউনের পরিপ্রেক্ষিতে কথা বলেছেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন।

বুধবার হেলাল উদ্দিন বলেন, আগামীকাল কিংবা রোববারের মধ্যে আমরা শপিংমল ও দোকানপাট খুলে দেয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।

দোকানপাট খুলে দিয়ে কি করোনা সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সবই খোলা রয়েছে, দেখান কি খোলা নাই। আমাদেরতো স্বল্প পুঁজির ব্যবসা। গত বছর আমরা পুঁজি হারিয়েছি। যদি এ বছরও পুঁজি হারাই তাহলে সবাই পথে বসে যাবে। তখন কিন্তু সবাইকে উঠানো সম্ভব হবে না।’

আপনাদের দাবি অনুযায়ী শপিংমল ও দোকানপাট খুলে দিলে কি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হবে জানতে চাইলে হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘অবশ্যই রাখা সম্ভব হবে। আর সেটা আমরা গত বছর প্রমাণও করেছি। বরং আমরা ১’শত ভাগ মানুষকে মাস্ক পড়াতে পারবো।’

এদিকে আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে দোকান খোলা রাখতে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব বরাবর আবেদন জানিয়ে বুধবার চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি। চিঠির বিষয়ে আজই ইতিবাচক সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে বলে প্রত্যাশা তাদের।

এ বিষয়ে সংগঠনটির সভাপতি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান খোলা রাখার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি আমরা। চিঠিতে সরকারের কাছে আমরা সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত পাইকারি মার্কেটগুলো খোলা রাখার জন্য অনুরোধ করেছি। কারণ পাইকারিভাবে পণ্য বিক্রি না হলে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেও সাধারণ মানুষ পণ্য পাবে না।

চিঠিতে বলা হয়েছে, গতবারের মতো এবারও যদি মার্কেট বন্ধ থাকে তাহলে বিলাসী পণ্য বিশেষ করে ঈদের জামা কাপড়, কসমেটিকস ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়বেন। আপাতত এসব পণ্যের পাইকারি মার্কেট খোলা রাখার অনুমতি চান ব্যবসায়ীরা। কারণ এখনও এসব পণ্যের খুচরা বিক্রি শুরু হয়নি, পাইকারি পর্যায়ের বিক্রি চলছে। দৈনিক ৫ ঘণ্টা ব্যবসা করার জন্য সুযোগ চেয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় গত ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত সারাদেশে শপিং মল, দোকান-পাট, হোটেল-রেস্তারাঁসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পাশাপাশি গণপরিবহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল। গত রোববার মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে ১১ দফা নিষেধাজ্ঞায় সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত, ব্যাংক জরুরি প্রয়োজনে সীমিত পরিসরে খোলা রাখার সুযোগ দেয়া হয়।

পরে গতকাল সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, বুধবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকা, চট্টগ্রামসহ সকল সিটি করপোরেশন এলাকায় গণপরিবহন সেবা চালু থাকবে। তবে শহরের বাইরের কোনো পরিবহন শহরে প্রবেশ করতে পারবে না, এবং বের হতে পারবে না।

প্রকৌশল নিউজ/এমএস