পৌরসভা ভোট শেষ, গণনা চলছে
দেশের বিভিন্ন জায়গায় ২৪ পৌরসভার প্রথম ধাপে ভোট গ্রহণ শেষ। সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। সবকটি পৌরসভায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে ভোট নেওয়া হয়।
২৪টি পৌরসভার মধ্যে ২৩টিতেই বড় দুই দল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। রাজশাহীর পুঠিয়া পৌরসভায় আওয়ামী লীগসহ দুই জন স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকলেও সেখানে বিএনপির কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলনা। কয়েকটিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীও মাঠে ছিল।
পঞ্চগড় পৌরসভা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলমগীরের গাড়ি ভাঙচুর করেছে একদল দুর্বৃত্ত। এ সময় তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা রবিউল ইসলাম নামের একজন পুলিশ সদস্য আহত হন।
ইসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২৪টি পৌরসভায় মেয়র পদে ৯৩ জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ২৬৬ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৮০১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রথম ধাপের এ নির্বাচনি লড়াইয়ে অংশ নিয়েছে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ।
এবার পৌরসভা নির্বাচনে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়নি। ইসির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, নির্বাচন উপলক্ষে ভোটের দিন যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনায় ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হবে, সেগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) মধ্যরাত থেকে মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত সব নির্বাচনি এলাকায় মোটরসাইকেল চলাচলের ওপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। রবিবার মধ্যরাত থেকে সোমবার রাত পর্যন্ত নির্বাচনি এলাকায় ট্রাক ও পিকআপ চলাচলের ওপর বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে। তবে জরুরি প্রয়োজনের এবং হাইওয়েতে চলাচলকারী গাড়ি এ নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে।
জানা গেছে, ২৪টি পৌরসভায় ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৩১৯টি। মোট ভোটার সংখ্যা ৬ লাখ ২৪ হাজার ৮০৭ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৩ লাখ ৭ হাজার ৩৭ জন এবং নারী ভোটার ৩ লাখ ১৭ হাজার ৭৭০ জন। ভোটের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১ হাজার ২৭৬ জন পুলিশ, ২ হাজার ৮৭১ জন আনসার, ৭২টি র্যাবের টিম, ৫০ প্লাটুন বিজিবি, মোবাইল ফোর্স ৭২টি এবং স্ট্রাইকিং ফোর্স ২৪টি মোতায়েন আছে।