মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে নিজ দূতাবাসে ঢুকতে বাধা


প্রকৌশল নিউজ ডেস্ক :
মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে নিজ দূতাবাসে ঢুকতে বাধা
  • Font increase
  • Font Decrease

লন্ডনে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে নিজের দূতাবাসে প্রবেশ করতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই দূতবাসের জান্তা সরকারপন্থী সামরিক অ্যাটাশের বিরুদ্ধে। রাষ্ট্রদূত কিউ জাওয়ার মিন বলেছেন, সেখানকার (লন্ডনের) কর্মীদের দূতাবাস ভবন ত্যাগ করতে বলেছে জান্তা সরকারপন্থী সামরিক কর্মকর্তা। আর তাকে বলা হয়েছে, তিনি এখন আর মিয়ানমারের প্রতিনিধি না। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি আরও বলেছেন, ‘আমাকে বাইরে বের করে দেওয়া হয়েছে।’

বুধবারের এই ঘটনাকে কিউ জাওয়ার মিন ‘মধ্য লন্ডনে আরেক ধরনের অভ্যুত্থান’ বলে উল্লেখ করে বলেছেন, ‘এই ধরনের অভ্যুত্থান চলতে পারে না।’ সে সময় রাষ্ট্রদূতকে লন্ডন মেফেয়ারের রাস্তায় দাঁড়িয়ে সেখানের স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলতেও দেখা যায়।

তবে দূতাবাস দখলে নেওয়া বর্তমান কর্তৃপক্ষ পুলিশকে দূতাবাসে ঢুকতে নিষেধ করেছে। এরই মধ্যে দূতাবাসের বাইরে ভিড় করে বিক্ষোভ করছেন জান্তা সরকারবিরোধীরা।

গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নেত্রী অং সান সু চির মুক্তির বিষয়ে গত মার্চে কথা বলেন কিউ জাওয়ার মিন। সেদিন বিবিসিকে তিনি বলেন, মিয়ানমার বিভক্ত আর সেখানে গৃহযুদ্ধের ঝুঁকি রয়েছে। তার এই বক্তব্য দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা নয়। তিনি মধ্যবর্তী অবস্থানে আছেন। সেনাবাহিনী ও বেসামরিক সরকারের মধ্যে নির্বাচনে জালিয়াতি নিয়ে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান ঘটে।

তার পরপরই এনএলডির শীর্ষ নেত্রী অং সান সু চি, দেশটির প্রেসিডেন্ট এবং মন্ত্রিসভার সদস্যসহ প্রভাবশালী রাজনীতিকদের আটক করে সেনাবাহিনী। পরে সেনাবাহিনী এক ঘোষণায় জানায়, আগামী ১ বছরের জন্য মিয়ানমারের ক্ষমতায় থাকবে তারা।

গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে দিয়ে সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনায় হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করতে রাস্তায় নেমে আসে। বড় জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা ও রাত্রিকালীন কারফিউ থাকা সত্ত্বেও তারা বিক্ষোভ দেখায়। এরই মধ্যে সেনাবিরোধী বিক্ষোভে মিয়ানমারে প্রাণ হারিয়েছে পাঁচ শতাধিক মানুষ।