ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরোধিতায় এবার আয়ারল্যান্ড
ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি দখলদারিত্বের প্রতিবাদে আনা একটি সংসদীয় প্রস্তাবে সমর্থন দিয়েছে আয়ারল্যান্ড সরকার। প্রস্তাবটি পাস হলে আয়ারল্যান্ডে নিযুক্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার এবং ইসরায়েলের ওপর অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। এক্ষেত্রে আয়ারল্যান্ডই হতে চলেছে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রথম দেশ, যারা ইসরায়েলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চলেছে। খবর আল জাজিরার।
গত মঙ্গলবার আইরিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইমন কোভেনি বলেছেন, বিরোধী দল সিন ফেইনের আনা প্রস্তাবটি ‘আয়ারল্যান্ড-জুড়ে অনুভূতির গভীরতার সুস্পষ্ট সংকেত’।
ফিলিস্তিনি ভূমিতে ইসরায়েলিদের বসতি স্থাপন প্রসঙ্গে তার স্পষ্ট মন্তব্য, ‘এটি কার্যত আত্মসাৎ’। ফিলিস্তিনি ভূমিতে ইসরায়েলের দখলদারিত্ব নিয়ে ইউরোপীয় নেতাদের মুখে ‘আত্মসাৎ’ শব্দের উচ্চারণ এটিই প্রথম বলে মনে করা হচ্ছে।
মধ্য-ডানপন্থী ফাইন গেইল পার্টির এ নেতা সংসদে আরো বলেন, ‘আমার মতে, এটি এমন কিছু নয় যা আমি বা এই হাউস (সংসদ) হালকাভাবে বলছি। এমনটি করা প্রথম ইইউভুক্ত দেশ আমরা। এটি অবশ্যই ওইসব (ইসরায়েলি) কর্মকাণ্ড ও তার প্রভাব সম্পর্কে আমাদের যে বিশাল উদ্বেগ রয়েছে, তার প্রতিফলন।’
মঙ্গলবার আইরিশ আইনপ্রণেতাদের অনেকেই ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ফিলিস্তিনের পতাকা বা চেকার্ড কেফায়া নকশার মাস্ক পরে সংসদে গিয়েছিলেন।
বর্তমানে দখলদার ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চলছে। এবারের যুদ্ধ চলাকালে বিশ্বের অনেক শহরের মতো আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিনেও ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ করেছেন হাজারো মানুষ।
টানা ১১ দিনের ওই লড়াইয়ে নির্বিচার বোমাবর্ষণ করে অন্তত ২৫৩ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী, যার মধ্যে ৬৬ শিশুও রয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন দুই হাজারেরও বেশি মানুষ।
দখলদারদের পাল্টা জবাব দিতে ইসরায়েলে চার হাজারের বেশি রকেট নিক্ষেপ করেছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো। এতে সেখানে বিদেশিসহ অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।