নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ইরানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশের বেশি: বিশ্বব্যাংক
নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ইরানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার টানা চতুর্থ বছরের মতো বৃদ্ধি পেয়েছে যা পাঁচ শতাংশের বেশি বলে বিশ্বব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
১৯৭৯ সালে ঘটা একটি যুগান্তকারী বিপ্লব যেটা ইরানকে পাশ্চাত্যপন্থি দেশ থেকে ইসলামি প্রজাতন্ত্রে পরিণত করে। ইসলামী বিপ্লবের পর থেকে দেশটির স্বাধীনচেতা ও উপনিবেশবাদবিরোধী নীতির কারণে আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং অন্যান্য উন্নত অর্থনীতির দেশগুলো ইরানের বিরুদ্ধে শত শত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। ইরানের অর্থনীতি ধ্বংস করার জন্য জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ শিল্পগুলোকেও নিষেধাজ্ঞা থেকে বাদ দেয়নি।
স্বাধীনভাবে পথ চলা অব্যাহত রেখে ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে ইরান। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার বাড়ানোর পাশাপাশি বেকারত্বের বিরুদ্ধেও লড়াই করছে শত নিষেধাজ্ঞার কবলে পরা এই দেশটি।
বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিবেদনের বলা হয়েছে, গত তিন বছরে এই অঞ্চলে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা সত্ত্বেও ইরানে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে পাঁচ শতাংশের বেশি এবং এই সময়ের মধ্যে বেকারত্ব কমেছে ৭.৪ শতাংশ।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ফার্সি ১৪০২ সালের প্রথম ৯ মাসে ইরানের প্রকৃত জিডিপির প্রবৃদ্ধি হার তেল ও সেবাখাত মিলিয়ে পাঁচ শতাংশে পৌঁছেছে। এই সময়ের মধ্যে তেল খাতে জিডিপি ছিল ৮.৬% যা বছর শেষে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১৬.৩ শতাংশ। অভ্যন্তরীণ চাহিদা এবং কিছু প্রতিবেশী দেশে রপ্তানির কারণে ইরানের তেলবহির্ভুত খাতের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ৩.৫% হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও ভূমিকা রাখছে। মহামারীর আগের তুলনায় ১৪০২ সালে কর্মসংস্থান ৩.৩% বৃদ্ধি পেয়েছে। গত চার বছরে, ইরানের শিল্প খাতে সর্বোচ্চ ৬.৩ এবং সেবা খাত ৪ শতাংশ কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিশ্বব্যাংক ভবিষ্যদ্বাণী করেছে যে, ইরানের জিডিপি বৃদ্ধি ফার্সি ১৪০৩ থেকে ১৪০৫ সালের মধ্যে বার্ষিক গড় ২.৮ শতাংশে পৌঁছাবে। তবে, বৈশ্বিক চাহিদা হ্রাস, নিষেধাজ্ঞা, শক্তির ঘাটতি, তারল্য সংকট, মূলধন সঞ্চয় হ্রাস এবং ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা প্রবৃদ্ধিকে প্রভাবিত করতে পারে।