তিস্তাসেচসহ ১০ প্রকল্প একনেকে অনুমোদন


প্রকৌশল নিউজ:
তিস্তাসেচসহ ১০ প্রকল্প একনেকে অনুমোদন
  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) প্রায় ১১ হাজার ৯০১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ব্যয় সম্বলিত ১০টি প্রকল্পের অনুমোদন করেছে। সেখানে তিস্তাসেচ প্রকল্পের কমান্ড এলাকার সম্প্রসারণ ও পুনর্বাসন প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা।

এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৮ হাজার ৯৯২ কোটি ৪৪ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক উৎস থেকে ঋণ ২ হাজার ৯৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৮০৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।

মঙ্গলবার (৪ মে) অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।

এছাড়া, সরকারি কোম্পানিগুলোকে সরকারের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে নিজেদের অর্থায়নে চলার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় অংশ নেন।


সভায় প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ১০টি প্রকল্পে অনুমোদন দেওয়া হয়। এসময় রাষ্ট্রায়ত্ত্ব বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স লিমিডেট কোম্পানি (বিপিসিএল) এর ৯৫ কোটি ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহে টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপন প্রকল্পে অনুমোদন দেওয়া হয়। মূলত ওই সময় প্রধানমন্ত্রী সরকারি সংস্থাগুলোকে সরকারি সহায়তা না নিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াতে বলেন।

এ বিষয়ে ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন তুলেছেন বিটিসিএল তো কোম্পানি। তারা নিজেরা কেন ব্যয় করতে পারে না। সরকার থেকে কেন তাদের টাকা দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নের জবাবে তারা বলেছে, তাদের সক্ষমতা অর্জন হয়নি। আমরা চেষ্টা করছি লাভজনক করার জন্য। পরে সামান্য সুদে ঋণ দেওয়ার প্রস্তবনাও হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী চাচ্ছেন এইভাবে সরকারি সংস্থগুলো যেন সরকারি অনুদানের ওপর নির্ভর না করে।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘সরকারি এসব সংস্থা বিজনেসের জন্য স্থাপিত। তারা তো লিডিটেড কোম্পানি। তারা যেন নিজেদের আয় থেকে ব্যয় করে। আমরা কতদিন তাদের টাকা দিয়ে চালাতে পারি? সরকারের ফান্ড দিয়ে তাদের চলতে হবে এটা অর্থনৈতিকভাবেও গ্রহণযোগ্য নয়।’

এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের যেসব সরকারি কোম্পানি আছে, দীর্ঘদিন তাদের ক্ষতিপূরণ দিয়ে চালানো ব্যবসায়িক দিন থেকেও সঠিক নয়। আমরা এভাবে কতদিন ক্ষতিপূরণ দেবো। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা হলো, এভাবে সহায়তা করা চলবে না। আপনাদের নিজেদের পায়ে নিজেদের দাঁড়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে।’

এম এ মান্নান জানান, প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে সুপার স্পেশাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল হাসপাতালের নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন। এটা দীর্ঘদিন ঝুলে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, যে সময় বাড়ানো হয়েছে এর পর যেন না বাড়াতে হয়।
 

খাল খনন প্রকল্পের নামে নয়-ছয়ে প্রধানমন্ত্রী সাবধান করে দিয়েছেন উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন-সাবধান। খাল খননের নামে যেসক কাণ্ড হয় তিনি তা জানেন। আমরাও সবাই কম বেশি জানি। তিনি বলেছেন, সেচে টেচে ওপরের দিকে দেখানোর একটু প্রবণতা রয়েছে। সেটার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী সাবধান করেছেন।’

পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান জানান, ‘উপজেলা পর্যায়ে যে মিনি স্টেডিয়ামগুলো নির্মাণ হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী তা সবার জন্য উন্মুক্ত রাখতে বলেছেন। এটা কারও আওতায় থাকবে না। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বা অন্য কেউ দেখভাল করতে পারবে। তবে এখানে সবার খেলার অধিকার থাকবে। তিনি বলেছেন, স্টেডিয়াম নয়। এটা হবে উন্মুক্ত খেলার মাঠ। একপাশে বসার জায়গা করা হবে। সেখানটা পাকা করে দেওয়া হবে। এটাকে প্রধানমন্ত্রী এভাবেই চাচ্ছেন।’