ড্রেজার স্থানান্তরের জন্য ১০টি টাগবোটের নির্মাণ কাজ শুরু


প্রকৌশল প্রতিনিধি:
ড্রেজার স্থানান্তরের জন্য ১০টি টাগবোটের নির্মাণ কাজ শুরু
  • Font increase
  • Font Decrease

ড্রেজার ও নন-প্রপেল্ড ভেসেলসমূহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় স্থানান্তরের জন্য ১০টি টাগবোট সংগ্রহ করা হচ্ছে। বোলার্ড পুলের প্রতিটি টাগবোটের ওজন ১২ টন। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এগুলো সংগ্রহ করছে। এজন্য ব্যয় হবে ১৬৬ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।  এগুলো ছাড়া আরো সাতটি টাগবোট সংগ্রহের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। সেগুলো সংগ্রহে ব্যয় হবে প্রায় ৯৮ কোটি টাকা।

শনিবার নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি নারায়ণগঞ্জের সোনাকান্দাস্থ বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ডকইয়ার্ড এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেডে ১০টি বোলার্ড পুলের টাগবোটের (কিল লেয়িং) নির্মাণ কাজের  উদ্বোধন  করেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, নদীপথ রক্ষার বিষয়টি  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে অনুভব করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু নৌপথ খননের লক্ষ্যে সাতটি ড্রেজার সংগ্রহ করেছিলেন। এর পরে ২০০৮ সাল পর্যন্ত কোন সরকার ড্রেজার সংগ্রহ করেনি। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১০ বছরে ৩৪টি ড্রেজার সংগ্রহ করা হয়েছে, আরও ৩৫টি ড্রেজার সংগ্রহের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সরকার ১০,০০০ কিলোমিটার নৌপথ খননের মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। নদী তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম অব্যাহত আছে।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে  সহকারী নৌ-প্রধান (ম‍্যাটেরিয়েল) রিয়ার এডমিরাল এম শফিউল আজম, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক, নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ডকইয়ার্ড এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর এস এম মনিরুজ্জামান, প্রকল্প পরিচালক বিআইডব্লিউটিএ’র প্রধান প্রকৌশলী (ড্রেজিং) এম এ মতিন উপস্থিত ছিলেন।

বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন “৩৫টি ড্রেজার ও সহায়ক জলযানসহ আনুষঙ্গিক সরঞ্জামাদি সংগ্রহ এবং প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ১০টি বোলার্ড পুলের টাগবোট সংগ্রহ করা হচ্ছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রতিষ্ঠান ডকইয়ার্ড এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেড ২০২৩ সালের মে’র মধ্যে টাগবোটগুলোর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করবে।

উল্লেখ্য, বিআইডব্লিউটিএ  এর ড্রেজার বহরের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং ড্রেজিং ক্যাপাসিটি ৩২৫.৬০ লক্ষ ঘনমিটার বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে ৩৫টি ড্রেজারসহ ১৬১টি জলযান সংগ্রহের প্রকল্প গ্রহণ করে। প্রকল্পের  উল্লেখযোগ্য ৩৫টি ড্রেজার হলো- দু’টি ২৮ ইঞ্চি, আটটি ২৪ ইঞ্চি, আটটি ২০ ইঞ্চি, নয়টি ১৮ ইঞ্চি, দু’টি ১২ ইঞ্চি কাটার সাকশন ড্রেজার, দু’টি ট্রেইলিং সাকশন হোপার ড্রেজার, দু’টি ওয়াটার ইনজেকশন/জেটিং ড্রেজার, দু’টি সেল্ফ প্রপেল্ড পন্টুন মউনটেড গ্রাব ড্রেজার। ৩৫টি ড্রেজারসহ ১৬১টি জলযান সংগ্রহের জন্য ব্যয় হবে ৪৪৮৯.০৩ (চার হাজার চারশত ঊননব্বই কোটি তিন লক্ষ টাকা। প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল অক্টোবর ২০১৮ হতে জুন ২০২৩।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দক্ষ নেতৃত্বে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করতে সক্ষম হয়েছি।

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্ব দিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করতে পারছেন বলেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও চিন্তাগুলো বাস্তবায়ন করতে পারছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা স্বপ্ন জয়ের পথে আছি। দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সেগুলো মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছি। 

প্রকৌশল নিউজ/প্রতিনিধি/এমআরএস