ঢামেক মর্গে লাশ আর লাশ


জাহাঙ্গীর সুমন
ঢামেক মর্গে লাশ আর লাশ
  • Font increase
  • Font Decrease

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৪৯ জনের লাশ নিয়ে আসা হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে। মর্গের সামনে শুধু লাশ আর লাশ। পুড়ে যাওয়া লাশগুলো  কাছে স্বজনদের ভীড় আর  পরিবার পরিজনের সদস্যদের বিলাপে ওই এলাকার পরিবেশ ভারী হয়েছে উঠেছে।

শুক্রবার দুপুর থেকে পাঁচটি অ্যাম্বুলেন্সে করে এসব লাশ নিয়ে আসা হয় ঢাকা মেডিকেলের মর্গে । পুলিশি পাহারায় আনা লাশগুলোর সব কটিই পোড়া। 

বৃহস্পতিবার বিকাল ৫ টার দিকে নারায়ণগঞ্জের কর্ণগোপ এলাকার সেজান জুস কারখানার ভবনে আগুন লাগে।  ৬ তলা ভবনটিতে এখনও আগুন জ্বলছে। আগুন লাগার ২৪ ঘণ্টা পার হলেও এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। 

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শুক্রবার দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ৫২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আর হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। লাশগুলো উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। 

এদিকে ঢাকা মেডিকেলে এখন পর্যন্ত চিকিৎসা নিয়েছেন নয়জন। এর মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন মোরসালিন (২৮) নামের একজন। আর হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেছেন বারেক (৪৮), নাহিদ (২৪), মঞ্জুরুল (২৮), আহাদ (৩৮), লিটন (৪৪)।

এছাড়া এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনজন। তারা হলেন হালিমা (১৩), মাজেদা (২৮) ও আমেনা (৪০)। কারখানার আগুন থেকে বাঁচতে ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়েন অনেকে। অনেকে ভেতরে আটকা পড়েন।

এদিকে ভবনের পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলায় উদ্ধারকাজ শুরু হবে। তালাবদ্ধ থাকায় চতুর্থ তলার কোনো শ্রমিক বের হতে পারেননি। তারা দগ্ধ হয়ে ভবনের ফ্লোরেই মৃত্যু হয়েছে। 

জেলা ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক দেবাশীষ বর্মণ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

এদিকে নিহতদের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা ও আহতদের ১০ হাজার টাকা করে অনুদানের ঘোষণা করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ। 

জেলা প্রশাসক জানায়, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে আনা এসব লাশের ডিএনএ প্রফাইলের স্যম্পল নেয়ার পর স্বজদের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হবে, যাদের লাশ স্বজনরা  চিহ্নিত করতে পারবে না , সেসব মৃতদেহ আন্জুমাসের সহযোগিতায় দাফন করা হবে।