ঈদ উপলক্ষে নয় দিন থাকছে না লকডাউন


প্রকৌশল প্রতিবেদক :
ঈদ উপলক্ষে নয় দিন থাকছে না লকডাউন
  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আর মৃত্যুতে যখন নিত্যনতুন রেকর্ড হচ্ছে, তখন ঈদ উদযাপনে নয় দিনের জন্য লকডাউনের সব বিধিনিষেধ স্থগিত রাখল সরকার।

মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত সকল বিধিনিষেধ শিথিল করা হল।
“পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন, জনসাধারণের যাতায়াত, ঈদ পূর্ববর্তী ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা, দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে” এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।

তবে এই সময়েও জনগণকে সব অবস্থায় সতর্ক থাকতে, মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি ‘কঠোরভাবে’ অনুসরণ করতে বলেছে সরকার।

ঈদের ছুটির পর ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৫ অগাস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত আগের বিধিনিষেধগুলো আবারও কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক ডেল্টা ধরনের বিস্তারে দেশে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা হু হু করে বাড়তে থাকায় কোভিড সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরী পরামর্শক কমিটির সুপারিশে গত ১ জুলাই থেকে এক সপ্তাহের জন্য সরকার সারা দেশে কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করে। পরে তা আরো এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়।

চলমান এই ‘কঠোর’ লকডাউনের বিধিনিষেধের মেয়াদ ১৪ জুলাই মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে। ২৩ জুলাই থেকে ৫ অগাস্ট বিধিনিষেধে পুরনো শর্তগুলোর সঙ্গে নতুন দুটো বিধিনিষেধ যোগ হবে।

অফিস বন্ধ থাকলেও সরকারি কর্মচারীরা দাপ্তরিক কাজ ভার্চুয়ালি সারবেন এবং সব ধরনের শিল্প কারখানাও তখন বন্ধ থাকবে।

গত বছর ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাস মহামারী শুরুর পর এ বছর দ্বিতীয়বারের মত ঈদুল আযহা আসছে বাংলাদেশে। লকডাউন শিথিল হলে দূরপাল্লার চলাচলে কোনো কোনো বাধা থাকবে না। ১৭ জুলাই থেকে কোরবানির পশুর হাট বসবে ঢাকায়।

গত বছর কোরবানির ঈদের পরপরই সংক্রমণ বেড়ে গিয়েছিল। তখন পরিস্থিতির অবনতির জন্য প্রধানত মানুষের চলাচলকেই দায়ী করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। তার সঙ্গে সামাজিক দূরত্ব বিধি ও স্বাস্থ্যবিধি না মানার প্রবণতা তো ছিলই।

এবারের মহামারী পরিস্থিতি গতবারের চেয়ে বহু গুণে নাজুক। করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক ডেল্টা ধরনের বিস্তারে দেশে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে।

সোমবারই দেশে একদিনে রেকর্ড ১৩ হাজার ৭৬৮ রোগী শনাক্ত হওয়ার খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তার আগের দিন রেকর্ড ২৩০ জন কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মো. রোবেদ আমিন রোববার এক ভার্চুয়াল বুলটিনে বলেছিলেন, লকডাউনেও কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসায় আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে মহামারী পরিস্থিতি করুণ হয়ে উঠতে পারে।

সেই আশঙ্কার মধ্যেই লকডাউন শিথিলের ঘোষণা দেওয়া হল।