ওয়ান ইলেভেনের কুশীলবরা এখনো ষড়যন্ত্র করছে : ওবায়দুল কাদের
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবসটি প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্রের কারাবন্দি দিবস, আর তাঁর কারামুক্তি দিবস বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে গণতন্ত্রের কারামুক্তি দিবস হিসেবেই পরিচিত লাভ করেছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী সাধারণ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার (১৬ জুলাই) সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জননেত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত একথা বলেন তিনি।
এদেশের রাজনীতির ইতিহাসে ওয়ান ইলেভেন একটি দুষ্ট ক্ষত উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ ক্ষত তৈরি হয়েছে বিএনপির হঠকারি এবং ক্ষমতালোভি রাজনীতির কারণে।
ইয়াজউদ্দীন একদিকে রাষ্ট্রপতি অপরদিকে তাঁকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করে বিএনপি একতরফা নির্বাচনের নীলনকশা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে ওয়ান ইলেভেনের প্রেক্ষাপট তৈরি করে এবং এরপরই আসে ওয়ান ইলেভেন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন দেশের রাজনীতি ও রাজনীতিবিদদের ওপর নেমে আসে অমানিশার ঘোর অন্ধকার, দেশ পরিচালনার দায়িত্ব যায় অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের হাতে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ওয়ান ইলেভেনের কুশীলবরা এখনো ষড়যন্ত্র করছে আরেকটা ওয়ান ইলেভেন সৃষ্টি করতে, সেই দিন আর আসবে না।
যারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে ক্ষমতায় যাবার ষড়যন্ত্র করছে তাদের সে খোয়াব দেশের জনগণ কখনো সফল হতে দেবে না বলেও মনে করেন তিনি।
তিনি বলেন, যারা ওয়ান ইলেভেনের রঙিন খোয়াব দেখছেন তাদের স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে।
ওয়ান ইলেভেন ছিলো রাজনীতিবিদদের জন্য পাঠশালাস্বরূপ, সেখান থেকেই রাজনৈতিক কর্মীদের শেখার অনেক কিছু আছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, রাজনীতি মানে গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভসানো নয়, জনগণের জন্য নির্মোহ রাজনীতি করলেই জনগণই পুরস্কৃত করে। তার উজ্জ্বল উদাহরণ ২০০৮ সালের নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে জনগণের আকাশচুম্বী সমর্থন।
ওবায়দুল কাদের জানান, যারা আকণ্ঠ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত ছিলো, রাষ্ট্রের সম্পদ লুণ্ঠনে ছিলো ব্যস্ত হাওয়া ভবনের মাধ্যমে জনগণ তাদের ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছিলো
আওয়ামী লীগের শেকড় মাটির অনেক গভীরে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, কোন ষড়যন্ত্রই আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশ ও জনগণ থেকে দুরে সরাতে অতীতেও পারেনি ভবিষ্যতেও পারবে না।
করোনার এই সংকটে আওয়ামী লীগ ছাড়া কোন দল জনগণের পাশে নেই দাবী করে ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, বিএনপি ঘরে বসে বিষোদগার করে যাচ্ছে।
করোনার এই মহামারিতে সংক্রমণের বিরুদ্ধে সচেতনতার প্রাচীর গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, শতভাগ মাস্ক পরিধানের মাধ্যমে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে অসহায় জনগণের পাশে দাঁড়ানো অব্যাহত রাখতে হবে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ও মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবিরসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।