হাসেম ফুডে অগ্নিকাণ্ড, আরো ২১ জনের লাশ নিল পরিবার


প্রকৌশল প্রতিবেদক :
হাসেম ফুডে অগ্নিকাণ্ড, আরো ২১ জনের লাশ নিল পরিবার
  • Font increase
  • Font Decrease

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুডস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের মধ্যে আরও ২১ জনের মরদেহ শনিবার বুঝে নিয়ে তাদের পরিবার।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) বিশেষ পুলিশ সুপার রোমানা আক্তার জানান, শনিবার দুপুরে ২১টি মৃতদেহ স্বজনরা গ্রহণ করেছেন।

এ নিয়ে দুই দফায় ৪৫ জনের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হল। এর আগে গত ৪ অগাস্ট হস্তান্তর করা হয়েছিল ২৪ জনের মরদেহ।
শনিবার যাদের মরদেহ হস্তান্তর করা হয় তারা হলেন- মিনা খাতুন (১৪), রহিমা (৩৯), মাহমুদা আক্তার (২২), রাবেয়া আক্তার, নাজমুল হোসেন, সেলিনা আক্তার, তাসলিমা আক্তার, ফাকিয়া আক্তার, রহিমা আক্তার, আমেনা আক্তার (২২), হাসনাইন (১২), শামীম (১৭), আকাশ মিয়া, সান্তা মনি আক্তার (১৪), অমৃতা বেগম (৩৬), শেফালী রানী সরকার (১৭), কল্পনা রানী বর্মন, মাহবুবুর রহমান (২৮), জিহাদ রানা, স্বপন মিয়া ও মো. নোমান (১৮)।

রোমানা আক্তার বলেন, 'গত বুধবার শনাক্ত হওয়া ২৪টি মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে আর শনিবার ২১টি মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হলো। ডিএনএ পরীক্ষায় ৪৫ জনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। বাকি লাশের ডিএনএ পরীক্ষার কাজ চলছে।'

সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কিশোরগঞ্জের মাহমুদার মৃতদেহ হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে এ প্রক্রিয়া শুরু হয়। ভোলার হাসনাইনের (১২) মরদেহ গ্রহণ করেন তার পরিবার। হাসনাইনের বাবা ফজলুর রহমান বলেন, 'মোতালেব দালাল আমার ছেলেটাকে এনে হত্যা করল।'

তবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে উপস্থিত সিআইডির এক কর্মকর্তা বলেন, 'অমৃতা সেলিমের দ্বিতীয় স্ত্রী। পারিবারিক ঝামেলা থাকায় মার কাছে মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।'

গত ৮ জুলাই হাসেম ফুডস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ওই ঘটনায় অন্তত ৫১ জনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে তিনজনের লাশ তখনই স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বাকি লাশগুলো এতটাই পুড়ে গিয়েছিল যে চোখে দেখে সেগুলো শনাক্ত করার উপায় ছিল না। ফলে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় শনাক্তের জন্য লাশগুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। ৪৮টি মৃতদেহ শনাক্ত করার জন্য ৬৮ জন স্বজনের কাছ থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে সিআইডি।

এছাড়া দিনাজপুরের ফয়জুল ইসলামের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের লাল্টু মিয়ার মেয়ে লাবণ্য আক্তার, ভোলার চরফ্যাশনের রাকিব দেওয়ানকে এখনও শনাক্ত করা যায়নি। ভোলার মহিউদ্দিন নামেও একজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে স্বজনদের দাবি।

হাসেম ফুডসে আগুন লাগার প্রায় ২০ ঘণ্টা পর ওই কারখানা থেকে মোট ৪৯ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করার কথা জানিয়েছিল ফায়ার সার্ভিস। সেসব দেহাবশেষ তারা ৪৮টি বডি ব্যাগে ভরে পাঠিয়েছিল ঢাকা মেডিকেলের মর্গে। কিন্তু সেখানে পুলিশ ৪৮টি ব্যাগে ৪৮ জনের মরদেহ ধরে নিয়ে সেভাবেই ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু করে।