দূষণমুক্ত নগর গড়তে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নীতিমালা প্রণয়ন প্রয়োজন
বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে কঠিন নীতিমালা প্রণয়ন করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা কলিং প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানানো হয়। রাজধানী ঢাকার চারটি বস্তিতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে ঢাকা কলিং। বস্তিগুলো হচ্ছে- ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মোল্লার বস্তি ও করাইল বস্তি এবং দক্ষিণ সিটির হাজারীবাগ বালুর মাঠ বস্তি ও বউবাজার বস্তি।
ইউএসএইড ও এফসিডিও এর অর্থায়নে এবং কাউন্টার পার্ট ইন্টারন্যাশনালের সহযোগিতায় দুস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র (ডিএসকে), কোয়ালিশন ফর আরবান পুওর (সিইউপি), বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইন্ডেজেনাস নলেজ (বারসিক) ও ইনসাইটসের সম্মিলিত জোট কর্মসূচিটি বাস্তবায়ন করছে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি হোসনে আরা রাফেজা বেগম বলেন, আমাদের দেশে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য কোন বিধিমালা নেই। পরিবেশ অধিদপ্তর, স্থানীয় সরকার, সিটি কর্পোরেশন এবং বিশেষ করে কমিউনিটির নেতৃত্বে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
পরিবেশ অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোঃ আব্দুস সোবহান বলেন, হাসপাতালের ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় তদারকি নেই। প্রিজম নামক একটি প্রতিষ্ঠান প্রতিদিন প্রায় ১২০০ হাসপাতাল থেকে ১২ টন বর্জ্য সংগ্রহ করে। বাকি বর্জ্য যেখানে সেখানে ফেলা হচ্ছে। এতে করে জনস্বাস্থ্য মারাত্মকভাবে হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে।
পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের চেয়ারম্যান আবু নাসের খান বলেন, বস্তিবাসী মানুষকে পিছনে রেখে বাসযোগ্য নগর গড়ে তোলা সম্ভব নয়। বস্তির যুব সদস্যদের সংগঠিত করে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ম ও নীতিমালার উপর জনসচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করা প্রয়োজন।
সূচনা বক্তব্য প্রদান করেন কনসোর্টিয়াম কো-অর্ডিনেটর সানজিদা জাহান আশরাফী। অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন এনবাসের যুগ্ম সম্পাদক মোঃ হান্নান আকন্দ, এনডিবাসের সম্পাদক মিস ফাতেমা আক্তার এবং দ্যা এনার্জী বাংলার উপদেষ্টা এডিটর অরুণ কর্মকার। সংবাদ সম্মেলনে ধারণাপত্র পাঠ করেন ইয়ুথ গ্রুপ লিডার তানজিনা আখতার তানিয়া।