গ্লোবাল ইয়ুথ লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড পেলেন ব্যারিস্টার ওলোরা
মেধাস্বত্ব ও নারী উন্নয়নে অবদান রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলাদেশের নারী উদ্যোক্তা ব্যারিস্টার ওলোরা আফরিন গ্লোবাল ইয়ুথ লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন।
নেপালের কাঠমান্ডুর ন্যাশনাল অ্যাসেম্বেলি হলে 'গ্লোবাল ইয়ুথ লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড ২০২১' তুলে দেন দেশটির উপ-রাষ্ট্রপতি নন্দ বাহাদুর পুঁন।
ব্যারিস্টার ওলোরা 'ওমেন ইন আইপি' বাংলাদেশ নামে একটি সংগঠনের এর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি যা বাংলাদেশের ৬৪টি জেলায় নারী উদোক্তাদের বিনামূল্যে ব্যবসায়িক সহযোগিতা, প্রশিক্ষণ ও আইনি সহায়তা দিয়ে থাকেন। পুরস্কার পাওয়ার পর তিনি জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে নিজেকে দেশ, জাতি ও মানবতার কল্যাণে কাজ করে যেতে চান।
উল্লেখ্য, 'গ্লোবাল ইয়ুথ পার্লামেন্ট' বিশ্বের অন্যতম একটি সংস্থা। যারা তরুণদের মেধা ও নেতৃত্ব নিয়ে কাজ করে। সংস্থাটি ২০১৪ সালে নেপালে যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে বিশ্বের ৭৩টি দেশে কাজ করছে। তারা মূলত উদ্যোক্তাদের উন্নয়ন, গণতন্ত্র শক্তিশালী করা, নতুন সুযোগ তৈরি করা এবং একটি আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক তৈরি করা নিয়ে কাজ করে। এই বছরও সংস্থাটি বিভিন্ন দেশ থেকে তরুণ নির্বাচন করেছে তাদের কাজের অবদানের বিশ্বের মানুষের কাছে পরিচয় করে দেওয়ার জন্য এবং তাদেরকে সম্মান জানানোর জন্য।
ব্যারিস্টার ওলোরা আফরিনের কাজের ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম ‘কপি রাইট’। এ ছাড়া বিভিন্ন অঙ্গনে যেসব নারীর কাজের সঙ্গে মেধাস্বত্ব জড়িত যেমন: লেখক, ডিজাইনার, স্থপতি, ফার্মাসিস্ট, চিত্রশিল্পী ইত্যাদি তাদের নিয়েও কাজ করেন তিনি। তিনি একজন অ্যাক্রেডিটেড মেডিয়েটর এবং কপিরাইট সমিতির (এলসিএসসিএফ) সেক্রেটারি জেনারেল।
এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশের নতুন কপিরাইট আইনের পলিসি মেকিং, রয়্যালটি কালেকশন, ডিস্ট্রিবিউশন, প্রণেতা ও সৃজনশীল কাজের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের মেধাস্বত্বের সুরক্ষা, ডেটা প্রোটেকশনের জন্য কাজ করে চলেছেন।
তিনি লিংকনস ইন থেকে কল টু দ্য বার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে পিএইচডি করছেন। তিনি প্রায় সাত বছর ধরে বাংলাদেশে মেধাস্বত্ব ও নারী অধিকার নিয়ে কাজ করছেন।
এর আগে তিনি মেধাস্বত্ব ও নারী উন্নয়নে অবদান রাখায় দুবাই তে অনুষ্ঠিত লেক্স টক থেকে ‘আইপি ফ্যালকন’ অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছেন।