শীতলক্ষ্যায় মালবাহী জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যাওয়া লঞ্চ উদ্ধার


ডেস্ক নিউজ
শীতলক্ষ্যায় মালবাহী জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যাওয়া লঞ্চ উদ্ধার
  • Font increase
  • Font Decrease

নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে মালবাহী জাহাজের ধাক্কায় ‘এমভি আশরাফ উদ্দিন’ নামে ডুবে যাওয়া লঞ্চটি উদ্ধার করেছে উদ্ধারকারী জাহাজ ‘প্রত্যয়’। লঞ্চটি উদ্ধারের সময় প্রাথমিকভাবে ভেতরে কোনো মরদেহ পাওয়া যায়নি।

সোমবার (২১ মার্চ) ভোরে লঞ্চটি উদ্ধার করে বিআইডব্লিউটিএ’র উদ্ধারকারী জাহাজ ‘প্রত্যয়’। উদ্ধার কাজে অংশ নেয় ফায়ার সার্ভিস, নৌ-পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ’র ডুবুরি দল, কোস্ট গার্ডসহ একাধিক সংস্থা।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের নারায়ণগঞ্জের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফীন জানান, ডুবে যাওয়া লঞ্চটি উদ্ধার করা হয়েছে, ভেতরে প্রাথমিকভাবে আমরা কোনো মরদেহ পায়নি।

এরআগে, রোববার (২০ মার্চ) দুপুর ২টা ২০ মিনিটের দিকে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর কয়লাঘাট অংশে রুপসী-৯ নামে কার্গো জাহাজের ধাক্কায় মুন্সিগঞ্জগামী লঞ্চ ‘এমভি আশরাফ উদ্দিন’ ডুবে যায়। এসময় লঞ্চটিতে প্রায় ৭০ জনের মতো যাত্রী ছিলো বলে লঞ্চে থাকা বেঁচে ফেরা কয়েকজন দাবি করেছেন।

নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান জানান, সর্বমোট ৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ৪ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা সবাই মুন্সিগঞ্জের। ২ জনের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।

এখন পর্যন্ত ৬ জনের মরদেহ পাওয়া গেলেও পরিচয় জানা গেছে ৪ জনের। তারা হলেন, মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার উত্তর ইসলামপুর এলাকার জয়নাল ভূইয়া (৫০), রমজানবেগ এলাকার আরিফা (৩৫), তার শিশু সন্তান সাফায়েত (দেড় বছর), গজারিয়া উপজেলার ইসমানিরচর এলাকার শিল্পা রানী।  

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ জানান, লঞ্চডুবির ঘটনায় প্রতিটি মরদেহের সঙ্গে প্রাথমিকভাবে ২৫ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হচ্ছে। উদ্ধার কাজ এখনো চলছে। এছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। উদ্ধার কাজ শেষ হলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে লঞ্চটি উদ্ধারের পর শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে নিখোঁজ স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে পরিবেশ। সকলেই নিজেদের নিখোঁজ স্বজনদের খোঁজে ছুটোছুটি করছেন। তবে ভেতরে কোনো মরদেহ না পাওয়ায় স্বজনদের অপেক্ষা দীর্ঘ হচ্ছে।

নিখোঁজ সোনারগাঁও হারিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উম্মে খায়রুন ফাতেমার মামা আক্তার হোসেন বলেন, আমরা লঞ্চ ডুবির পর থেকেই অপেক্ষা করছি। ভেবেছিলাম লঞ্চের ভেতরে হয়তো পাওয়া যাবে। বেঁচে আছে নাকি নেই তাও জানিনা।