ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ
আমদানির অনুমোদনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় ভারত থেকে পেঁয়াজ আসা বন্ধ রয়েছে। দেশের কৃষকদের স্বার্থ বিবেচনা করে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রেখেছে সরকার। দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ না আসায় অর্থাৎ আমদানি বন্ধ থাকায় পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বন্দর দিয়ে সর্বশেষ ৩০ এপ্রিল ৬৮ ট্রাকে এক হাজার ৯০২ টন পেঁয়াজ এসেছে। এরপর ঈদের ছুটি শেষে ৭ মে বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু হলেও এখন পর্যন্ত কোনো পেঁয়াজ আসেনি। এদিকে ঈদের আগে বন্দরে পেঁয়াজ ১৪-১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা বেড়ে ২০-২২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
হিলি বন্দরের আমদানিকারক শাহরিয়ার আলম জানান, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির জন্য পাওয়া ইমপোর্ট পারমিটের (আইপি) মেয়াদ ছিল চলতি মাসের ৫ মে পর্যন্ত। কিন্তু পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ১ মে থেকে ৬ মে পর্যন্ত ছয়দিন হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল। একইভাবে দেশের অন্য বন্দর দিয়েও এ সময় আমদানি আসেনি। এ কারণে ওই সময়ের মধ্যে বেশি পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানির ইচ্ছা থাকলেও তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। সরকার নতুন করে আমদানির অনুমোদন না দেওয়ায় বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আসছে না। আমরা ইতোমধ্যে পেঁয়াজ আমদানির জন্য অনুমতি চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করেছি। ঈদুল আজহায় পেঁয়াজের চাহিদা মাথায় রেখে দ্রুত আমদানির অনুমতি দিলে বাজার স্থিতিশীল থাকবে বলে জানান এই আমদানিকারক।
হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বলেন, গত ২৯ মার্চ পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদনের মেয়াদ শেষ হয়। সে সময় রমজানে দেশে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সময় বাড়িয়ে ৫ মে পর্যন্ত নির্ধারণ করেছিল কর্তৃপক্ষ। নতুন আমদানির অনুমোদন না মেলায় আমদানি বন্ধ রয়েছে। কবে নাগাদ আবার তা চালু হবে সে বিষয়ে তিনি কিছু জানাতে পারেননি।
স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন জানান, হিলি দিয়ে গত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ভারত থেকে পেঁয়াজ এসেছে। এরপর বন্দর দিয়ে কোনো পেঁয়াজ আমদানি হয়নি।