প্রেসক্লাবে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশের লাঠিচার্জ
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব ‘বীর উত্তম’ বাতিলে সরকারের উদ্যোগের প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ- অভিযোগ বিএনপির। এসময় বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন দলটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন।
ইশরাক হোসেন বলেন, ‘পুলিশ অতর্কিতভাবে বিক্ষোভে অংশ নেয়া নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে। এতে আমাদের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন।’ তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের নাম-পরিচয় জানাতে পারেননি তিনি।
শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, শনিবার সকাল ১০টায় সমাবেশ শুরুর কথা থাকলেও এর আগেই শুরু হয় বিএনপির প্রতিবাদ কর্মসূচি। বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে প্রেসক্লাব ও সচিবালয় এলাকা বন্ধ করে দেয় পুলিশ। কর্মসূচিতে আসা যুবদলের একটি মিছিলকে প্রতিহত করতে যায় পুলিশ। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ উত্তেজনার মধ্যেই শুরু হয় বিএনপির প্রতিবাদ কর্মসূচি।
কর্মসূচিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বক্তব্য দেওয়ার পর বক্তব্য দেন দলটির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান (সোহেল)। এরপর দলটির স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য ড. খোন্দকার মোশারফ হোসেন বক্তব্য দেওয়া শুরু করার পরই পুলিশ হামলা চালায় বলে দাবি করেন বিএনপি নেতারা।
বিএনপি নেতারা দাবি করেছেন, পুলিশের লাঠিচার্জে তাদের অন্তত ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল থেকেই প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীরা জড়ো হতে শুরু করেন। পরে দুপুরের দিকে সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশের শেষ দিকে হঠাৎ বিএনপি নেতাকর্মীরা হট্টগোল শুরু করলে পুলিশ তাদের ওপর লাঠিচার্জ করে। ছত্রভঙ্গ হয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা প্রেস ক্লাবের ভেতরে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করেন। পরে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। ১৫-২০ মিনিট ধরে সংঘর্ষ চলার পর সেখান থেকে সরে যান বিএনপি নেতাকর্মীরা।
প্রকৌশল নিউজ/এস