আমিরাত আইপিএলে অবিশ্বাস্য আয় ভারতের
করোনাভাইরাসের ঝুঁকি মাথায় রেখে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) জন্য ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ক্রিকেট আয়োজন করাটাই ছিল বিশাল এক চ্যালেঞ্জ। তারা শুধু সে চ্যালেঞ্জই জেতেনি, একইসঙ্গে করেছে বিশাল অঙ্কের আয়। এছাড়া বেড়ে টিভি দর্শকের সংখ্যাও।
ভারতের করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় আইপিএলের এবারের আসরটি আয়োজন করা হয়েছিল আরব আমিরাতে। যে কারণে আয়োজক এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ডকে প্রায় ১১৫ কোটি টাকা দিতে হয়েছে। এটি দিতে কোনো সমস্যাই হয়নি বিসিসিআইয়ের।
কেননা পুরো টুর্নামেন্ট থেকে তাদের আয়ের পরিমাণ ৪ হাজার কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার বেশি)। করোনা পরিস্থিতিতে যেখানে লোকসানের হিসেব নিয়ে বসছিল বিসিসিআই, সেখানে টুর্নামেন্ট শেষে উল্টো অবিশ্বাস্য এ আয়ই জমা পড়েছে তাদের কোষাগারে।
এছাড়া গত ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত চলা আইপিএলের এবারের আসরে টিভিতে দর্শক বেড়েছে ২৫ শতাংশ। বিশেষ করে ১৯ সেপ্টেম্বর মুম্বাই ইন্ডিয়ানস ও চেন্নাই সুপার কিংসের মধ্যকার উদ্বোধনী ম্যাচে টিভি দর্শকের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে আগের সব রেকর্ডকে।
বিসিসিআইয়ের কোষাধ্যক্ষ অরুন ধুমাল জানিয়েছেন এসব তথ্য। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে তিনি বলেছেন, ‘গত আইপিএলের তুলনায় এবার ৩৫ শতাংশ খরচ কমাতে পেরেছে বোর্ড। এই মহামারীর সময়েও আমরা ৪ হাজার কোটি রুপি আয় করেছি। টিভির দর্শকের হার ২৫ শতাংশ বেড়েছে। উদ্বোধনী ম্যাচে আগের যেকোন আসরের চেয়ে বেশি দর্শক পাওয়া গেছে।’
তিনি জানান, ‘আইপিএল আয়োজনের ব্যাপারে যারা আমাদের প্রতি সংশয় প্রকাশ করেছিল, তারাই এসে ধন্যবাদ জানিয়ে গেছে। আইপিএল যদি না হতো, ক্রিকেটাররা একটা বছর হারিয়ে ফেলত। আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্থ হতো।’
আইপিএলে অংশ নেয়া প্রতিটি দলেই ছিল চল্লিশের বেশি সদস্য। এর মধ্যে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসে আবার ছিল ১৫০ জনের বেশি সদস্য। এত মানুষকে একসঙ্গে রাখায় ছিল করোনাভাইরাসের ঝুঁকি। তবে জরুরি পরিস্থিতির জন্য সবধরনের ব্যবস্থা রাখা ছিল বলে জানিয়েছেন বিসিসিআই কোষাধ্যক্ষ।
তিনি বলেন, ‘আইপিএলে যদি কোনো কোভিড-১৯ কেস ধরা পড়তো, তাহলে তা মোকাবিলা করার জন্য ২০০টি রুম বরাদ্ধ করা ছিল। যাতে করে আক্রান্ত রোগীরা সেখানে কোয়ারেন্টাইন করতে পারে এবং পুরোপুরি সুস্থ হয়ে আবার যোগ দিতে পারে।’