ডিএসসিসি’র বর্জ্য অপসারণ চলছেই
ঢাকাবাসীকে জলাবদ্ধতার কবল থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ক্র্যাস প্রোগ্রামের আওতায় তিনটি খাল ও দুটি বক্স কালভার্ট হতে ২০ হাজার ৬৫০ টন বর্জ্য অপসারণ বর্জ্য অপসারণ করেছে।
সোমবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গত ১০ দিনে জিরানি খাল থেকে ২০ হাজার টন বর্জ্য ও মাটি উত্তোলন করা হয়েছে। শুক্রবার বাদে ৭ জানুয়ারি হতে শুরু হওয়া এই কার্যক্রম প্রতিদিন চলমান রয়েছে।
গত ৭ কর্মদিবসে সেগুনবাগিচা ও পান্থপথ বক্স কালভার্ট হতে ৬৪৯.৯৫ টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। গত ১০ তারিখে সেগুনবাগিচা বক্স কালভার্ট হতে ৯ ট্রিপে ৬৫.৫১ টন, ১১ তারিখে পান্থপথ ও সেগুনবাগিচা বক্স কালভার্ট হতে ১৩ ট্রিপে ১১৬.৬৯ টন, ১২ তারিখে পান্থপথ ও সেগুনবাগিচা বক্স কালভার্ট হতে ১৪ ট্রিপে ১০৭.৭৫ টন, ১৩ তারিখে পান্থপথ ও সেগুনবাগিচা বক্স কালভার্ট হতে ১৪ ট্রিপে ১২০.১৩ টন, ১৫ তারিখে পান্থপথ বক্স কালভার্ট হতে ৩ ট্রিপে ২২.২৩ টন, ১৬ তারিখে পান্থপথ ও সেগুনবাগিচা বক্স কালভার্ট হতে ১৩ ট্রিপে ৯৮.০৯ টন, ১৭ তারিখে (গতরাতে) ১৩ ট্রিপে পান্থপথ ও সেগুনবাগিচা বক্স কালভার্ট হতে ১৩ ট্রিপে ১১৯.৫৫ টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। গত ১৪ তারিখে সাকরাইন উৎসবের জন্য বক্স কালভার্ট দুটো হতে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম বন্ধ ছিল এবং গত ১৫ তারিখে সেগুনবাগিচা বক্স কালভার্ট হতে বর্জ্য অপসারণ বন্ধ ছিল।
এছাড়াও সোমবার নগরীর মান্ডা খালের সীমানার মধ্যে থাকা এবং টিটি পাড়ায় ওয়াসা পাম্প হাউজের সীমানা ঘেঁষে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। ডিএসসিসির সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মুনিরুজ্জামান টিটি পাড়ায় ওয়াসা পাম্প হাউজের সীমানা ঘেঁষে গড়ে ওঠা পাঁচটি অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করেন। একইসাথে ডিএসসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ ও তানজিলা কবির ত্রপার নেতৃত্বে মান্ডা খালের সীমানার মধ্যে থাকা চারটি ব্রিজ ও ২০টি ভবনের বর্ধিতাংশ উচ্ছেদ করেন।
চলমান বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম প্রসঙ্গে ডিএসসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোঃ বদরুল আমিন বলেন, জিরানী, মান্ডা ও শ্যামপুর খাল হতে আমাদের বর্জ্য উত্তোলন ও চ্যানেল পরিষ্কার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। একই সাথে পান্থপথ ও সেগুনবাগিচা বক্স কালভার্ট হতেও আমাদের বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম চলমান আছে। ইতোমধ্যে আমরা পান্থপথ বক্স কালভার্টের ২৯টি পিটের মধ্যে ২৮টি পিটের মুখ হতে বর্জ্য অপসারণ করেছি এবং সেগুনবাগিচা বক্স কালভার্টের ১৩টি পিট হতে বর্জ্য অপসারণ করতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু দুই পিট এর মধ্যবর্তী অংশে আমরা ড্রেজারসহ নানা রকম যন্ত্র ব্যবহার করলেও কাজটি এখনো বেশ জটিল পর্যায়ে রয়ে গিয়েছে। তাই, মেয়র মহোদয়ের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী দুই পিটের মধ্যবর্তী অংশ হতে বর্জ্য অপসারণ করতে আমরা দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সহোযোগিতা নিয়ে কাজটি করে চলেছি।