ছুটির দিনেও চলমান ডিএসসিসির বর্জ্য অপসারণ
সাপ্তাহিক ছুটির দিন শনিবারও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য অপসারণ চলমান ছিল। বিভিন্ন খালের চ্যানেল পরিষ্কার ও সীমানা নির্ধারণের কাজও পুরোদমে চলছে। গত ১৫ দিনে আনুমানিক ৩২ হাজার ৫০০ টন বর্জ্য ও মাটি অপসারণ করা হয়েছে এসব চ্যানেল থেকে। ত্রিমোহনী হতে শুরু হওয়া এই কার্যক্রমের মাধ্যমে জিরানী খালের দেড় কিলোমিটার অংশ হতে এই বর্জ্য ও মাটি অপসারণ করা হয়।
শনিবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকাবাসীকে জলাবদ্ধতার কবল হতে মুক্তি দিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ঘোষিত ক্র্যাস প্রোগ্রামের আওতায় পরিচালিত তিনটি খাল ও দুটি বক্স কালভার্ট হতে বর্জ্য অপসারণ, চ্যানেল পরিষ্কারকরণ ও সীমানা নির্ধারণ কার্যক্রম শনিবারও পুরোদমে চলেছে।
কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আজ জিরানী, মান্ডা ও শ্যামপুর খাল হতে বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। ত্রিমোহনী হতে শুরু হওয়া এই কার্যক্রমের মাধ্যমে বিগত ১৫ কর্মদিবসে জিরানী খালের দেড় কিলোমিটার অংশ হতে বিপুল পরিমান বর্জ্য ও মাটি অপসারণ করা হয়েছে।
শনিবার মান্ডা খালের মান্ডা ব্রিজ হতে কদমতলী অংশের প্রায় ৩০০ মিটার খালের সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে। কার্যক্রমে কর্পোরেশনের সম্পত্তি বিভাগের কর্মকর্তা ও সার্ভেয়ারসহ কর্মচারীরা অংশ নিয়েছেন।
এছাড়াও আজ নগরীর মান্ডা খাল ও শ্যামপুর খাল এবং টিটি পাড়ার ওয়াসা পাম্প হাউজের মধ্যের বর্জ্য ম্যানুয়ালি অপসারণ কার্যক্রম চলমান।
ছুটির দিনেও বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম চলমান রাখা প্রসঙ্গে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মোঃ বদরুল আমিন বলেন, ৩১ মার্চের মধ্যে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন ২টি বক্স কালভার্ট ও ৩টি খাল হতে বর্জ্য অপসারণের মাধ্যমে সেগুলোতে পানি প্রবাহ ফিরিয়ে আনার যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, তা পূরনে আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পুরোদমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। সময়ানুযায়ী কাজটি শেষ করাটাই এখন একমাত্র লক্ষ্য।
কর্পোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন বলেছেন, ডিএসসিসি’র লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী আমাদের কার্যক্রম শেষ করতে হলে ছুটির দিনেও কাজ করা লাগছে। সেজন্য লক্ষ্যমাত্রা সফল করার স্বার্থে ছুটির দিন কিংবা ছুটিবিহীন দিন বিবেচনার সুযোগ নেই। আমি নিজেও কাজ করছি, আমাদের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও আন্তরিকভাবে কাজ করছেন।