কম্বাইন হারভেস্টারে ভাগ্য ফিরলো মোস্তাফিজের


নিজস্ব প্রতিবেদক :
কম্বাইন হারভেস্টারে ভাগ্য ফিরলো মোস্তাফিজের
  • Font increase
  • Font Decrease

উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরায় কম্বাইন হারভেস্টার ব্যবহারের মাধ্যমে আউশ ধান ঘরে তুলতে কৃষকদেরকে দারুণভাবে সহযোগিতা করছে মেশিনটি। এক সময়ের 'দুর্লভ' আধুনিক এ মেশিন সরকারি প্রণোদনায় এখন কৃষকের দোরগোড়ায়। মেশিনটির ব্যবহার যেমন সাশ্রয়ী, তেমনি ফসল তুলতে সময়ও লাগে কম। ফলে দিন দিন প্রান্তিক কৃষকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠছে সরকারের এই উদ্যোগ।

সেখানকার  উদ্যোক্তা কে. এম. মোস্তাফিজের কম্বাইন হারভেস্টার ব্যবহারের মাধ্যমে আউশ ধান ঘরে তুলতে এলাকার কৃষকদেরকে দারুণভাবে সহযোগিতা করছে। সমন্বিত খামার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় কৃষি উন্নয়ন সহায়তায় জেলার কৃষকদের মাঝে 'কম্বাইন হারভেস্টার’ মেশিন সরবরাহ করা হচ্ছে। মেশিনটির ব্যবহার যেমন সাশ্রয়ী, তেমনি ফসল তুলতে সময়ও লাগে কম। ফলে দিন দিন প্রান্তিক কৃষকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠছে সরকারের এই উদ্যোগ।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মনির হোসেন জানান,  ২০২১—২২ অর্থ বছরে কে. এম. মোস্তাফিজ প্রকল্পের আওতায় 'কুবোতা কম্বাইন হারভেস্টার' মেশিনটি ৭০ শতাংশ ভর্তুকি মূল্যে ক্রয় করেন। তিনি প্রকল্পের মাধ্যমে দেওয়া মেকানিক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করে নিজেই এই মেশিন পরিচালনা করেন।

তিনি আরো জানান, সাতক্ষীরা সদর উপজেলাতে এ বছর দুই হাজার সাতশত হেক্টর জমিতে আউশ ধান চাষ হয়েছে। ধান কাটার এই সময়ে ভারী বৃষ্টিপাত ও শ্রমিক সংকটের কারণে কৃষকের মাঝে কম্বাইন হারভেস্টার দিয়ে ধান  কাটা প্রচুর জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

উদ্যোক্তা কে. এম. মোস্তাফিজ জানান যে, কম্বাইন হারভেস্টার ক্রয় করার পূর্বে তার একটি ফটোকপি মেশিনের দোকান ছিলো। উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে সমন্বিত খামার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্প সম্পর্কে জানতে পেরে তিনি ভতুর্কি মূল্যে মেশিনটি সংগ্রহ করেন। প্রকল্পের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নিয়ে কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় ধান কর্তন করা শুরু করেন।

তিনি আরো জানান, ইতোমধ্যে তার বিনিয়োগকৃত টাকা তিনি তুলে নিতে পেরেছেন, প্রতিটি ধান কাটা মৌসুমের পূর্বেই পরিকল্পনা মাফিক দেশের বিভিন্ন স্থানের কৃষকেদের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে ধান কর্তন করেন। ফলে ভালো আয় করা সম্ভব হয়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, চাষাবাদে যন্ত্রের ব্যবহারে কৃষকদের ব্যাপক আগ্রহ বেড়েছে। কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে দান কর্তনে কৃষকদের আগ্রহ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

তিনি জানান, মোস্তাফিজের মতো যুবকরা এগিয়ে আসলে খুব দ্রুতই কৃষিকে যান্ত্রীকিকরণ সম্ভব হবে। বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার শতকরা ৫০—৭০ ভাগ ভতুর্কী মূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি কৃষকদের মাঝে সমন্বিত খামার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্প বিভিন্ন কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ করছেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) এর সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের পরিচালক(পিডি) তারিক মাহমুদ বলেন, ‘প্রকল্প থেকে ২৮ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ পেয়ে অনেকেই উদ্যোক্তা হিসবে গড়ে উঠে এদেশের কৃষিকে যান্ত্রিকায়নে ভূমিকা রাখছে। এছাড়া বেশিরভাগ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মেকানিকরা যন্ত্রপাতি মেরামতে ভূমিকা রাখছেন।’