কোভিড-১৯ ট্রাজেডি: এক নতুন বিশ্বের হাতছানি ও বাংলাদেশ

কোভিড-১৯ ট্রাজেডি: এক নতুন বিশ্বের হাতছানি ও বাংলাদেশ

ড. প্রশান্ত কুমার রায় 

১৪২৬ সালের ১লা বৈশাখের কথা যদি স্মরণ করি- সেদিন ছিল আনন্দ ও প্রাণস্পন্দনে ভরা বাঙালির ঐতিহ্যিক একটি দিন। পাখিডাকা ভোর থেকে অগনিত মানুষের মিছিল। 

গন্তব্য রমনা বটমূল। নারী-পুরুষ-শিশু-বয়স্ক সকলের কন্ঠে ‘এসো হে বৈশাখ, এসো হে...’। বাঙালির আবহমান কালের ঐতিহ্য পান্তা ভাত, ইলিশ ভাজি সাথে কাঁচা লংকা অথবা শুকনা মরিচ ভাজা। সদ্য শুরু ১৪২৭ সালের মৃতপ্রায় ১লা বৈশাখে দাঁড়িয়ে অতীতের বৈশাখী আবেগ ও আনন্দকে পুনরায় ফিরে পাবার প্রত্যাশা কতটা সম্ভব? ধারণা করা হচ্ছে, আজকের প্রেক্ষাপটে আগামীর দিনগুলোতে সহসা আর অতীতের ন্যায় স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাওয়া সম্ভব হবে না। কোভিড-১৯ তছনছ করে দিয়ে গেছে আমাদের সাজানো গোছানো আনন্দ-বেদনার মাঝে বেঁচে থাকার স্বাভাবিক জীবন ও পরিবেশ। যেখানে প্রতি মুহূর্তে জীবনাশংকায় নিজে, আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সকলেই সন্ত্রস্ত।

গৃহাবদ্ধতা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বাধ্যবাধকতার ন্যায় দুরূহ প্রতিবন্ধকতা ১৪২৮ এমনকি ১৪২৯ বঙ্গাব্দে শিথিল হলেও কি তুলে নেয়া সম্ভব হবে? অভাবিত মৃত্যুর মিছিল নিয়ন্ত্রণে আমরা কতটা সক্ষম হবো? হলেও কতটা সফল হবো এবং ততদিনে সার্বিক দৃশ্যপট কেমন হবে? 
স্বল্পকালীন অভিজ্ঞতা থেকে করোনার নিষ্ঠুর ছোবল ও তার ভয়াবহতা থেকে অনুধাবন করা যায় সময়ের পরিসরে বিশ্বের অনেক কিছুই ধ্বংস হয়ে যাবে, একই সময়ে আবার নতুন কিছু সৃষ্টিও হবে। অনেক কিছু হারিয়ে যাবে, আবার অনেক কিছু পুণর্গঠিত হবে। মনে করা হচ্ছে, ভয়াবহতা দীর্ঘায়িত হলে সার্বিকভাবে পৃথিবী এমনভাবে ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে যে নতুন পৃথিবীর সাথে আজকের পৃথিবীর অনেক বেশি বৈশাদৃশ্য দেখা যাবে। 

এমনও হতে পারে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে আজকের পৃথিবী স্বপ্নের মতো মনে হবে। হয়ত শহরটি থাকবে কিন্তু কোনও জৌলুস নেই। সুরম্য অট্টালিকা থাকবে কিন্তু ফ্ল্যাটগুলো অধিকাংশই মানুষশূন্য। বড় বড় বাজার ও শপিংমলগুলো অনেকটাই বন্ধ, অথবা খোলা থাকলেও মানুষের কোলাহল নেই সেখানে। 

লকডাউনের মধ্যেও কারওয়ান বাজারে ঘেঁষাঘেঁষি করে বাজার করার মানুষ হয়ত তখন আর থাকবে না। দেখা যাবে না রাস্তায় সেই দীর্ঘ যানজট। ঘরে ফিরতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অস্বস্তিকর অবস্থায় আটকে থাকার ন্যায় ভোগান্তি নেই। বাস ও ট্রেনে উপচেপড়া ভিড় নেই। জীবন বাজি রেখে ট্রেনের ছাদে চড়ার ঘরমুখো বাঙালি আর দেখা যাবে না। পদ্মা সেতুর অসম্পূর্ণ কাজ কি হবে, কতদিনে শেষ হবে এবং দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের ৪ কোটি (তখন জনসংখ্যা কত থাকবে?) মানুষের স্বপ্ন পূরণ কি হবে? স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির প্রাণান্তকর প্রতিযোগিতা হারিয়ে যাবে কিনা- এগুলো অবান্তর মনে হলেও অসম্ভব কোনও বিষয় নয়। এসব বিবেচনায় নিয়ে আগামী বিশ্বের একটি রূপ কল্পনা করা যায়। 

মানুষ বৃহৎ পরিসরে মিলেমিশে বাঁচার প্রতি আকর্ষণ ও আস্থা দুটোই হারিয়ে ফেলতে পারে। করোনা মোকাবেলায় মানুষ নিজস্ব পরিসরে প্রতিবেশি ও গ্রামবাসীকে রক্ষা করতে চাইবে যেখানে নিজের এবং তার পরিবারের নিরাপত্তা ও জীবন জড়িত। মানুষ এভাবে গ্রাম কেন্দ্রিক ছোট পরিসরে পারস্পরিক নিকট সম্পর্কিত গোষ্ঠী নিয়ে ইউনিট গঠনের মধ্য দিয়ে বেঁচে থাকার পথ খুঁজবে এবং প্রাচীন সমাজের মতো ক্লানভিত্তিক জীবনযাপন গড়ে উঠবে। কারণ, বৃহৎ পরিসরে যোগাযোগ কমিয়ে নিজেদের মধ্যে বাধঁন মজবুত করে পরস্পর পরস্পরকে আকড়ে বাঁচতে চাইবে মানুষ। বেশি লোকসমাগম ও মেলামেশাকে অপছন্দ করবে, এড়িয়ে চলবে। এই সুযোগে গোত্রীয় মুরব্বীদের নেতৃত্ব ও সম্পর্ক যা আজ হারিয়ে গেছে তা পুণঃপ্রতিষ্ঠিত হতে পারে। 

বিশ্বনেতৃত্বসহ দেশে দেশে বর্তমানে যে ধরনের নেতৃত্ব বহাল তবিয়তে আছে তার প্রতি মানুষ আস্থা হারাবে এবং নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি হবে, যারা নতুন সমাজব্যবস্থা পরিচালনায় সক্ষম হবে। বিশ্ব তখন নতুন করে পরিকল্পনা করবে, কর্মসূচি গ্রহণ করবে যাতে করে ভবিষ্যতে অনুরূপ কোনও বিপর্যয় না ঘটে।

স্নায়ুযুদ্ধ উত্তর সময়ে চীন-আমেরিকার সম্ভাব্য স্নায়ুযুদ্ধের পরিণতি অত্যন্ত বিপজ্জনক হয়ে উঠবে। করোনা ভাইরাস চীনের উৎপাদিত একটি জীবাণু অস্ত্র- এটা যদি সত্য হয় তাহলে চীন যে পরিকল্পনায় তার বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক আধিপত্য বিস্তার করে আসছিল তা ভেস্তে যাবে। আমেরিকা ও পশ্চিমা বিশ্ব কোনভাবেই এ অমানবিক জীবাণু আক্রমণকে মেনে নেবে না- এসকল বিষয় নতুন সমস্যার জন্ম দিবে। প্রাচ্যের অনেক দেশও এ বিষয়ে কঠোর অবস্থানে যাবে। 

আন্তর্জাতিক ও দেশীয় বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর পূর্ণ উৎপাদনে ফিরে যেতে সময় লাগবে। অনেক ক্ষেত্রে সম্ভব হবে না। গার্মেন্টসসহ অনুরূপ চলমান শিল্পকারখানা তাদের শ্রমিক ছাটাই করবে যা ব্যাপক বেকারত্ব ও পরিণামে কোটি কোটি মানুষকে দারিদ্র্য এবং হতদারিদ্রে নিপতিত করবে। বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার শিকার হয়ে ধনী গরিব নির্বিশেষ সকল দেশ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। বিশেষত উন্নয়নশীল বিশ্বের ছোট অর্থনীতির দেশগুলো ভয়াবহ অর্থ সংকটে পড়বে।

তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো আজ থেকে ৪-৫ দশক পূর্বের ন্যায় নিম্ন অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে, যেখানে সিংহভাগ জনগোষ্ঠীকে দুবেলা খেতে দেয়া এবং পরনে একটা কাপড় পৌঁছে দিতে হিমশিম খেতে দেখা যাবে। করোনা ট্রাজেডিতে সর্বাপেক্ষা ক্ষতিগ্রস্থ হবে তরুণ প্রজন্ম যারা দেশে-বিদেশে উচ্চশিক্ষা তথা চাকুরির সুযোগ হারাবে। এক কথায় তারা ক্যারিয়ার গঠনের যাবতীয় সুযোগ থেকে বঞ্চিত একটি কর্মহীন হতাশাজর্জর জনগোষ্ঠীতে পরিণত হবে।

ধর্ম ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের প্রভুত্বের জায়গা হারাবে। ধর্ম যাজকেরা যে বিপদে কোনও কাজে আসে না বা তাদের কোনও কথা বা ফতোয়া বিপদ উত্তরণে কাজে লাগে না সেটা প্রমাণিত হবে। মানুষ দেখবে যে করোনা মোকাবেলা ধর্ম দিয়ে নয়, গবেষক ও ডাক্তার দিয়ে প্রতিষেধক উদ্ভাবন ও প্রতিরোধ করা হয়েছে, যেখানে ধর্মের বা ধর্ম যাজকদের কোন ভূমিকা ছিল না। মানুষ ধর্মান্ধত্ব থেকে অনেকটা পরিত্রাণ পাবে। 

করোনার বিশ্বব্যাপী তা-ব যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় তাহলে বড় বড় ধর্ম প্রতিষ্ঠানগুলো পরিত্যাগ করে মানুষ নিজস্ব আঙ্গিকে নিজ গণ্ডির মধ্যে ঈশ্বর আরাধনা করবে। কারণ, আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ধর্ম যাজক বা ধর্মীয় নেতাসহ বড় বড় উপাসনালয়গুলো বন্ধ হয়ে যাবে এবং তাদের ধর্মব্যবসা রহিত হবে। মানুষ বাস্তববাদী হয়ে উঠবে এবং জীবন মৃত্যুর রহস্য নিয়ে নতুন চিন্তা ও উত্তর খুঁজতে শুরু করবে যা আধ্যাত্মিকতার চিরায়ত ধারণাকে পাল্টে দেবে। মানুষ অনেকটাই কুসংষ্কারমুক্ত হবে এবং ধর্মীয় ভেদাভেদ অনেকাংশে লাঘব হবে এবং তার ধারাবাহিকতায় অদূর ভবিষ্যতে নতুন সার্বজনীন ধারায় মানবতার ধর্ম প্রতিষ্ঠিত হবে। 

অনেক স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী পাওয়া যাবে না। অভিভাবকবৃন্দ তাদের সন্তানকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে না পাঠিয়ে গৃহে শিক্ষাদান করবে, হোম স্কুলিং নতুন মাত্রা পাবে। বিশেষত শিশুদের নিরাপত্তার কারণে পিতামাতা তাদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে অনাগ্রহী হয়ে উঠবে। স্বামী ও স্ত্রী উভয়ের চাকুরী করার প্রবনতা হ্রাস পাবে। পরিবারগুলো খুব ছোট ও এক কেন্দ্রীক হয়ে উঠবে। স্বামী-স্ত্রীর দাম্পত্য ও পারিবারিক সম্পর্ক নতুন মাত্রা পাবে যেখানে ডিভোর্স সংষ্কৃতি মারাত্মকভাবে হ্রাস পাবে। 

বিশ্বায়ন নতুন রূপ পাবে। করোনা যুদ্ধ ও পরবর্তী ধাক্কা সামলাতে জাতিরাষ্ট্রগুলোকে একে অপরকে সঙ্গে নিয়ে চলতে হবে। কারণ, এটি মানবজাতি ও সভ্যতার অস্তিত্বের প্রশ্ন। বিশ্ব ভ্রাতৃত্ববোধের জায়গা অনেকটা দৃঢ় হবে। এক্ষেত্রে বর্তমান বৈষম্য নীতির ইতিবাচক পরিবর্তন হতে পারে। ছোট বড় সকল জাতিসত্তা বিশ্ব ফোরামে তাদের নিজস্ব স্বীকৃতি পেতে পারে। যদিও নিজ দেশ, এলাকা, এমনকি নিজ গ্রামকে মানুষ পৃথক করে রাখবে। মুক্ত চলাচল বা প্রশোধিকার সীমিত হয়ে পড়বে।

প্রতিটি বিপর্যয় ও ক্রান্তিকালে নতুন বুদ্ধিদীপ্ত নেতৃত্বের জন্ম হয়। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে বীর ও সামরিক যোদ্ধাদের মধ্য থেকে নেতৃত্ব সৃষ্টি হয়, কিন্তু এবার নেতৃত্ব সৃষ্টি হবে গবেষক ও চিকিৎসকদের মধ্য থেকে যারা বিশ্বকে করোনামুক্ত করতে পথ দেখাবে, যথাযথ নেতৃত্ব দেবে। করোনা ট্রাজেডি প্রমাণ করবে অর্থ, বৈভব, সমরাস্ত্র, ভোগ্যপণ্য, বিলাসিতা কোনকিছুই জীবনকে রক্ষা করে না। স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল- অন্য সকল মূল্যহীন। 

ইতোমধ্যে বাংলাদেশে সাড়ে ৪ কোটি মানুষ বেকার ঝুঁকিতে পড়ে গেছে। এদের মধ্যে একই পরিবারের একাধিক সদস্য যদি ধরে নেয়া হয় এবং কৃষিতে কর্মরত শ্রমজীবি মানুষের কজের ব্যবস্থা কমবেশি থ্াকলেও ২ কোটি পরিবার তথা ৮ কোটি মানুষের খাওয়া পরা, জীবন জীবিকা কিভাবে এবং কতদিনে বিকল্প কোন পথে নিশ্চিত হবে- এ প্রশ্নের উত্তর এখনও অজানা রয়ে গেছে।

চলমান ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী মাসেই এই বিপুল সংখ্যক মানুষ কর্মহীন হবে এবং জাতীয় সম্পদের বিপরীতে পুণরায় তারা বোঝা হয়ে দাঁড়াবে। খাদ্যাভাব প্রকট হবে। জিডিপি স্বাধীনতার পূর্বকালের ন্যায় অতি নিন্মে (১-২%) চলে যাবে এবং সে দিনের মতো অনাহারী অর্ধাহারী মানুষের সংখ্যা ব্যাপকহারে বেড়ে যাবে। 
করোনা সংক্রমণের যে গতি আমরা তার কতটা প্রতিরোধ করতে সক্ষম হবো, মৃতের সংখ্যাই বা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে সেটিও বিবেচ্য এক্ষেত্রে। অন্য আর পাঁচটি দেশ বা জাতির সাথে আমাদের কর্মসূচি বা কৌশল মিলবে না। 

অন্যেরা নিজেদের নিয়ে নিজেরা ভাবে ও বোঝে- বেশিরভাগ মানুষ সরকারি সুবিধা পায় এবং বিধিনিষেধ ও আইনকানুন মেনে চলে। আমাদের চেতনা ও জ্ঞান এবং বিবেচনাবোধ অনেক উৎকর্ষতার সাক্ষ্য রাখলেও করোনা ট্রাজেডি মোকাবেলায় আমরা সর্বাংশে মুর্খতার পরিচয় দিয়েছি ও দিয়ে যাচ্ছি। সরকার অনেক জরুরি পদক্ষেপ নিলেও এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রাত্যহিক সংবাদ সম্মেলন করে নির্দেশনা প্রদান করলেও আমরা গৃহে আবদ্ধ থাকা ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলছি না। সানন্দে বাজার করছি, গ্রামে মহল্লায় আড্ডা বসাচ্ছি, ধর্মীয় অনুষ্ঠানে লাখো মানুষের সমাগম ঘটাচ্ছি, লকডাউন না করে গার্মেন্টস বন্ধ করছি আবার খুলছি- এভাবে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়াচ্ছি।

পরিস্থিতি এমন যে, প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ চলমান রেখে করোনার প্রতিষেধক বা ভেক্সিন আবিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত আমরা এ সংকট মোকাবেলার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবো, ফলাফল যা হয়। কিছু জয়, কিছু পরাজয় ও কিছু বিপর্যয় মেনে নিতে হবে। এসকল বিষয় মাথায় রেখে যতদ্রুত সম্ভব করোনা পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় একটি জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং তা বাস্তবায়নে বিশেষভাবে দক্ষ একটি গ্রুপকে দায়িত্ব প্রদান করলে সরকারের জন্য এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা সহজ হবে মনে করি। 

লেখক: গবেষক ও সাবেক সচিব। পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।