শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবি : ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে মালবাহী জাহাজের ধাক্কায় এমভি আশরাফ উদ্দিন নামে একটি লঞ্চ ডুবে যায়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ছয়জনের মধ্যে দুজন নারী, দুজন পুরুষ ও দুই শিশু রয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে মালবাহী জাহাজের ধাক্কায় এমভি আশরাফ উদ্দিন নামে একটি লঞ্চ ডুবে যায়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ছয়জনের মধ্যে দুজন নারী, দুজন পুরুষ ও দুই শিশু রয়েছে।
রোববার (২০ মার্চ) দুপুরে চর সৈয়দপুরের আলামিন নগরের ব্রিজের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নিহত ছয়জনের মধ্যে একজনের নাম জানা গেছে। তিনি হলেন জয়নাল ভূঁইয়া (৬০)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রায় ৭০ জন যাত্রী নিয়ে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় লঞ্চ টার্মিনাল থেকে মুন্সীগঞ্জ যাচ্ছিল এমভি আশরাফ উদ্দিন। পথে এমভি রূপসী-৯ নামে একটি কার্গোবাহী জাহাজ লঞ্চটিকে ধাক্কা দেয়। এতে লঞ্চটি মুহূর্তেই ডুবে যায়। এ সময় ১৫ থেকে ২০ জন যাত্রী সাঁতার কেটে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও বাকিরা নিখোঁজ রয়েছেন। তবে লঞ্চে ঠিক কতজন যাত্রী ছিলেন তা কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি।
দুর্ঘটনার পর লঞ্চে থাকা জয়নাল ভূঁইয়া (৬০) নামে এক বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও অজ্ঞাতপরিচয় এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ওমর ফারুক বলেন, জয়নাল হার্টের রোগী ছিলেন। লঞ্চ ডুবে যাওয়ার পর সাঁতার কেটে তীরে উঠেছিলেন জয়নাল ভূঁইয়া। কিন্তু এর কিছুক্ষণ পরই তিনি মারা যান।
নারায়ণগঞ্জ নৌ পুলিশের এসপি মীনা মাহমুদা জানান, একটি জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চটি ডুবে গেছে বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএয়ের উপ-পরিচালক (নৌ নিরাপত্তা বিভাগ) বাবু লাল বৈদ্য বলেন, একটি জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চটি ডুবে গেছে। এখনো অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন। উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফীন জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করেছে।