আলোকিত জাতি গড়ে তোলার বড় প্রতিষ্ঠান গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

আলোকিত জাতি গড়ে তোলার বড় প্রতিষ্ঠান গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, দেশ ও জাতিকে আলোকিত ও ইতিহাস-সচেতন করে গড়ে তোলার সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান হচ্ছে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর।

১৯৭৫ হতে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ২১ বছরে যারা জন্মগ্রহণ করেছিল তারা বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে অন্ধকারে ছিল। তাদেরকে সচেতনভাবে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানতে দেয়া হয়নি। তাই নতুন প্রজন্মের সামনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুসহ মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরতে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এ ব্যাপারে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ জরুরি।

বুধাবার সকালে রাজধানীর গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে 'মহান বিজয় দিবস ২০২০' উপলক্ষে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরকে একবিংশ শতাব্দীর উপযোগী আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন একটি সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্য নকশায় 'গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের সদর দপ্তরের বহুতল ভবন নির্মাণ প্রকল্প' হাতে নেয়া হয়েছে। শিগগিরি এটি একনেকে ওঠবে বলে আশা রাখি।

তাছাড়া চট্টগ্রামে নির্মিত হচ্ছে সর্বাধুনিক বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগার এবং মুসলিম ইনস্টিটিউট সাংস্কৃতিক কেন্দ্র যার মাধ্যমে চট্টগ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হচ্ছে। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবির প্রেক্ষিতে নির্মিতব্য সদর দপ্তরের বহুতল ভবনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এখানে বঙ্গবন্ধুর একটি ম্যুরাল স্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান অভিহিত করে তিনি বলেন, তাঁরা নিঃস্বার্থভাবে দেশের জন্য নিজেদের জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন। শুধুমাত্র দেশপ্রেম ও বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ডাকের কারণে এটি সম্ভব হয়েছিল।

অনুষ্ঠানে  উপস্থিত ছিলেন, গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু বকর সিদ্দিক, গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের পরিচালক (লাইব্রেরি, উন্নয়ন ও আইসিটি) এ জে এম আব্দুল্যাহেল বাকী ও পরিচালক (প্রশাসন ও হিসাব) তপন কুমার বিশ্বাস সহকারী পরিচালক ড. মো. হারুন অর রশীদ, জুনিয়র লাইব্রেরিয়ান রেজাউল আলম, খন্দকার আক্কাসসহ আরও অনেকই।

এর আগে প্রতিমন্ত্রী গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের পাঠকক্ষে নবনির্মিত 'বঙ্গবন্ধু কর্ণার' উদ্বোধন করেন।